close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা : উপদেষ্টা ফারুক ই আজম..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।..

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন জীবন সায়াহ্নে। তাদের কোনো চাওয়া পাওয়া নেই, তাই কোনো বিভাজনও থাকতে পারে না। জীবনের এ পর্যায়ে এসে তাদের সমাজের জন্য অনুকরণীয় আদর্শের জীবন গড়তে হবে যেন সন্তানেরা গর্ব করে জাতির সামনে তা তুলে ধরতে পারে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম এর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড এ সভার আয়োজন করে।

ফারুক ই আজম আরও বলেন, দেশে অনিবার্যভাবে নির্বাচন হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে প্রস্তুত। সবাই উৎসবমুখর নির্বাচন দেখতে চায়, ভোট দিয়ে দেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে, নিজের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব অনেক। তাদেরকে জাতির স্বার্থে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখাতে হবে।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় মানুষকে অধিকার না দেওয়া, বেঁধে রাখার চেষ্টা ও প্রবণতা ছিল। তবে এখন বাঁধ খুলেছে, সবদিকে কলরব উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। এটা অব্যাহত রাখতে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

বক্তারা বলেন, লে. কর্নেল জিয়া উদ্দিন আহমেদ ছিলেন তেজস্বী পুরুষ। নিভৃতচারী ও প্রচার বিমুখ মানুষ ছিলেন তিনি। তবে যখনই মানুষের অধিকার ভূ-লুণ্ঠিত হয়েছে, যখন মানুষ শোষণ আর বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তখন কর্নেল জিয়াউদ্দিন প্রতিবাদ করেছেন। ব্যানার হাতে একাকী রাস্তায় নেমে পড়েছেন, কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাননি।

ইউনিট আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. তালুকদার মাহফুজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহব্বত খান, প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের রেক্টর ইমাম হাসান রেজা, ভাইস প্রিন্সিপাল ফিরোজ আহমেদ এবং পরিবারের পক্ষে ভাই ডা. ফরহাদ, বড় ছেলে জাবেদ, মেঝ ছেলে জাহেদুর রহমান ও মেয়ে ইফফাত জাহান স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

No comments found