close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বিমানবন্দরে বিষধর ব্যাগ! থাইল্যান্ড থেকে ফেরা যাত্রীর লাগেজে ৪৭ সাপ ও বিরল সরীসৃপ উদ্ধার..

Zahidul Islam avatar   
Zahidul Islam
এক নজরে নিখুঁত ভ্রমণের মতোই ছিল যাত্রা—ঝলমলে রোদ, নির্বিঘ্ন ফ্লাইট। কিন্তু থাইল্যান্ড থেকে মুম্বাইয়ে ফিরেই এক ভারতীয় যাত্রীর ভ্রমণ পরিণত হলো নাটকীয় ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায়।

রোববার (২ জুন) মুম্বাইয়..

এক নজরে নিখুঁত ভ্রমণের মতোই ছিল যাত্রা—ঝলমলে রোদ, নির্বিঘ্ন ফ্লাইট। কিন্তু থাইল্যান্ড থেকে মুম্বাইয়ে ফিরেই এক ভারতীয় যাত্রীর ভ্রমণ পরিণত হলো নাটকীয় ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায়।

রোববার (২ জুন) মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই যাত্রীর ব্যাগ খুলতেই হতবাক হয়ে যান কাস্টমস কর্মকর্তারা। তার লাগেজ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৭টি বিষধর সাপসহ বিভিন্ন বিপজ্জনক ও বিরল প্রজাতির সরীসৃপ।

কি পাওয়া গেছে সেই ব্যাগে?
কাস্টমসের তথ্যে জানা যায়, যাত্রীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়:

  • ৩টি স্পাইডার-টেইল্ড হর্নড ভাইপার

  • ৫টি এশিয়ান লিফ টার্টল

  • ৪৪টি ইন্দোনেশীয় পিট ভাইপার

এই প্রাণীগুলোর বেশিরভাগই আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষিত ও বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রাণীগুলো অবৈধভাবে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হচ্ছিল।

আটক যাত্রী ও তদন্ত
অভিযুক্ত যাত্রীর নাম প্রকাশ না করা হলেও তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয়েছে। প্রাণীগুলোর উৎস এবং পাচারচক্রের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিপজ্জনক প্রবণতা
ভারতে বিমানবন্দর হয়ে বন্যপ্রাণী পাচার নতুন নয়। এর আগেও দিল্লি, চেন্নাই ও মুম্বাই বিমানবন্দরে বহুবার বিদেশি ও বিপন্ন প্রাণী উদ্ধার হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের পাচার শুধু পরিবেশ নয়, জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকিস্বরূপ।

প্রতিরোধে পদক্ষেপ
ভারতীয় কাস্টমস বিভাগ বলছে, বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বিমানবন্দরে নজরদারি আরও জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে পাচারচক্র ধ্বংসে চলমান রয়েছে বিশেষ অভিযান।

এ ঘটনা আবারও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, বন্যপ্রাণী পাচার এখন এক বৈশ্বিক সংকট, যা মোকাবেলায় প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও আন্তঃদেশীয় সমন্বয়।

Nenhum comentário encontrado