উত্তরার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো দোয়া মাহফিল ও রক্তদান কর্মসূচি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উত্তরা বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে আজ এক বিশেষ দোয়া মাহফিল ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নিহতদের রূহের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
একই সময়, দলটির যুব সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী যুবদল’-এর ব্যবস্থাপনায় কার্যালয়ের সামনেই শুরু হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও অংশ নেন। দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্তদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং আরও অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। তারা সবাই শোক প্রকাশ করেন এবং আক্রান্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন।
রক্তদানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিল যুবদলের গঠিত ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম। তাদের মধ্যে কেউ রক্ত সংগ্রহ করছেন, কেউ দাতার তথ্য নিচ্ছেন, আবার কেউ হাসপাতাল পর্যন্ত রক্ত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত ‘নেগেটিভ’ ব্লাড গ্রুপের রক্ত গ্রহণে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যেহেতু এটি পাওয়া তুলনামূলকভাবে কঠিন।
এই উদ্যোগ শুধু রাজনৈতিক নয়, একটি মানবিক সহানুভূতির প্রকাশও বটে। দুর্ঘটনার শোককে শক্তিতে পরিণত করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রমাণ করেছেন—জাতীয় বিপর্যয়ের সময় দলমত ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আসল রাজনীতি।
এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দল কেবল শোক প্রকাশেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং সরাসরি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। এতে করে সাধারণ মানুষের ভরসা যেমন বাড়ে, তেমনি রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ববোধও দৃঢ় হয়।