close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বিকাশ হ্যাক করে মাসে মাসে টাকা আত্মসাৎ, এক বছর পর ভুক্তভোগীর নজরে।..

রাসেল মাহমুদ avatar   
রাসেল মাহমুদ
****

রাসেল মাহমুদ।।
যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া এলাকার বিকাশ ব্যবসায়ীর দীর্ঘ এক বছর ধরে নিজের অজান্তে মোবাইল বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতিমাসে অর্থ হারাচ্ছিলেন। অজ্ঞাত প্রতারকের পাতানো ফাঁদে পড়ে প্রতিমাসে ২০৪০ টাকা করে এসব অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে নিয়মিত। অবশেষে বিষয়টি নজরে আসার পর তিনি যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ মহিদুল ইসলাম (৩২)। সে যশোর সদর উপজেলার হাটবিলা গ্রামের মোঃ হাসান হাওলাদারের ছেলে। হাটবিলাস্থ টিকে গ্রুপের প্রতিষ্ঠান গ্রীনবোর্ড ফ্যাক্টরীর সামনে যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশের তার হোটেল ও বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা রয়েছে। তিনি জানান, গত ১৩ মে ২০২৫ তারিখ সকাল ৯টা ৬ মিনিটে তার বিকাশ একাউন্ট থেকে ০১৬১৫-৪৯০৭৩১ নম্বারে অটোমেটিক ২০৪০ টাকা ট্রান্সফার হওয়া নম্বরের বিষয়টি লক্ষ্য করেন।
প্রথমে বিষয়টি তিনি টেকনিক্যাল ভুল ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে বিস্তারিত খতিয়ে দেখে দেখতে পান, ২০২৩ সাল থেকে ওই নম্বরে প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে ২০৪০ টাকা করে টাকা অটো-পের মাধ্যমে ট্রান্সফার হয়েছে। বিকাশ অ্যাপসের মাধ্যমে Pin Number হ্যাক করে Auto Pay চালু করে প্রতারক এই কাজ করে আসছিল বলে ধারণা তার। ভুক্তভোগী আরো জানান, প্রতারকের ওই নম্বারে কল দিলে তিনি রিসিভ করলেও কোনো কথা বলেন না। পরে বিকাশ হেল্পলাইন-এ যোগাযোগ করে Auto Pay সুবিধাটি বন্ধ করেন এবং সমস্ত লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণ করেন। এঘটনার পর তিনি কোতোয়ালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন এবং দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রতারণার নতুন কৌশল
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের প্রতারণা বর্তমানে দ্রুত বেড়ে চলেছে। অনেক সময় প্রতারকেরা টার্গেট ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার ও একাউন্টের ন্যূনতম তথ্য সংগ্রহ করে ফিশিং বা সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে পিন জেনে নেয়। তারপর Auto Pay-এর মাধ্যমে মাসে মাসে টাকা নিয়ে যায়—বেশিরভাগ সময়ই ভুক্তভোগী তা বুঝতেই পারেন না। বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের সাবধান করে বলেন, অচেনা নম্বর থেকে ফোন বা এসএমএসের মাধ্যমে কোনো তথ্য কখনোই শেয়ার না করতে এবং নিয়মিত বিকাশ একাউন্টের স্টেটমেন্ট চেক করার পরামর্শ দিয়েছেন।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator