close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিএনপির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি: পরিবেশ সুরক্ষা ও জাতীয় ঐক্যের প্রয়াস..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা
বিএনপি সারা দেশে ৫ কোটি গাছ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে, যা পরিবেশ সুরক্ষা ও রাজনৈতিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করবে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারা দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় কেন্দ্রীয়ভাবে ৫ কোটি গাছ রোপণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরায় জেলা কৃষক দলের আয়োজনে শহরের প্রাণসায়ের খালের ধারে ঔষধি, ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা ও র‍্যালির আয়োজন করা হয়। সভায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতউল্লাহ পলাশ প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, 'জাতীয় ঐক্য ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবে।'

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. কামরুজ্জামান কামু, এবং জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলী হোসেন।

আলোচনা সভার শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রাণসায়ের খাল পাড়ে সমাপ্ত হয়। সেখানে অতিথিরা গাছ রোপণ করেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও কৃষক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম।

এই কর্মসূচি সম্পর্কে তারেক রহমান বলেন, 'পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।'

পরিবেশবিদদের মতে, এ ধরনের উদ্যোগ দেশের বনায়ন বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিএনপির এই উদ্যোগ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐক্যের প্রেরণাও সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের কর্মসূচি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের একটি মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সহায়ক হবে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली