close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বিদ্যালয়ের ৬ তলা থেকে লাফ দিয়ে ছাত্রী গুরুতর আহত

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
A schoolgirl in Jamalpur’s Bakshiganj jumped from a six-story school building and was seriously injured. Police recovered a blood-stained blade and scarf, sparking widespread speculation.

জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্কুল ভবনের ছয় তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর আহত হয় এক ছাত্রী। ঘটনাস্থলে রক্তমাখা ব্লেড ও স্কার্ফ উদ্ধার করেছে পুলিশ, রহস্য ঘিরে চলছে নানা গুঞ্জন।

জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। সরকারি উলফাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয়তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে, যা মুহূর্তেই স্কুলজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

আহত ছাত্রীটির বয়স ১৩ বছর এবং সে বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার জেলখানা রোডের বাসিন্দা। বিদ্যালয়ের ছয়তলা থেকে লাফ দেওয়ার পর তার সহপাঠীরা চিৎকার করে শিক্ষকদের খবর দেয়। দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে পাঠানো হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়, অভিভাবক মহল এবং পুরো এলাকায় চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। কী কারণে এই ছাত্রী এমন ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নিল তা এখনো স্পষ্ট নয়। তার সহপাঠীরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, বরং তারা নিরব থাকাকেই বেছে নিয়েছে।

তবে ঘটনার পর বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একাধিক আলামত উদ্ধার করেছে। বিদ্যালয়ের ছয়তলার একটি শ্রেণিকক্ষের বারান্দা থেকে পাওয়া গেছে রক্তমাখা একটি ব্লেড এবং একটি স্কার্ফ। এ দুটি জিনিস থেকেই ঘটনা ঘিরে নতুন করে রহস্য তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, এটি আত্মহত্যার চেষ্টা, আবার কেউ কেউ সম্ভাব্য মানসিক নির্যাতন কিংবা অন্য কোনো চাপের কথা বলছেন।

এই বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদকে ফোন করলে, তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কোনো কথা না বলেই ফোন কেটে দেন। তার এই আচরণে জনমনে আরও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানিয়েছেন, একজন উপপরিদর্শককে (এসআই) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সার্বিক বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা হবে।

এদিকে এলাকার মানুষজন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উদ্বিগ্ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের মন্তব্য ও গুজব। অনেকেই বলছেন, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এখনই জোরালো উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

এ ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষ এবং আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, সন্তানদের প্রতিদিন স্কুলে পাঠানোর আগে এখন ভয় লাগছে। বিদ্যালয়ের ভিতরে কীভাবে একটি ছাত্রী ছয়তলা পর্যন্ত গিয়ে লাফ দিতে পারলো, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে।

ঘটনার গভীরে পৌঁছাতে না পারা পর্যন্ত এ প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলবে না। তবে রক্তমাখা ব্লেড এবং স্কার্ফের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয়, এখানে কেবল আত্মহত্যা নয়, থাকতে পারে আরও গভীর কিছু।

कोई टिप्पणी नहीं मिली