কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে (৭ জুন) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন কোরবানির পশু আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জবাই করে সুষ্ঠুভাবে তা ভাগ-বণ্টনে।
এই অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার উদ্দেশ্যে পরিবার-পরিজন ছেড়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মরত থাকে। অনেকে আবার পাড়ি জমায় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দুবাই, কাতারসহ অন্যান্য দেশে। এমনকি আমেরিকাতেও এই এলাকার বহু মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এখানকার মানুষ উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও চীন, রাশিয়া প্রভৃতি বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে।
মুসলমানদের দুটি প্রধান ঈদের মধ্যে ঈদুল ফিতরে কেউ কেউ বাড়ি না ফিরলেও কোরবানির ঈদে অনেকেই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীদের মধ্যে কোরবানির মাংস বিতরণের মাধ্যমে আনন্দ করতে ফিরে আসে।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ঈদের নামাজ আদায়ের পাশাপাশি উপজেলা কোর্ট মসজিদ ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় আলহাজ্ব হাফেজ মোঃ নুরুল আমিন ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ—ভুরুঙ্গামারী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় সকাল ৯টায় মুফতি সাধ বিন নিজাম এর ইমামতিতে ঈদুল আযহার নামাজ সম্পন্ন হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, “ঈদের দিনেও হাসপাতালে কিছু গুরুতর অসুস্থ রোগী ভর্তি রয়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের জন্য বিশেষ খাবার—পোলাও, খাসির মাংস, ডিম ও ডাল সরবরাহ করা হয়েছে। জনগণের চিকিৎসা সেবায় ২৪ ঘণ্টা জরুরি বিভাগ খোলা রয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব গোলাম ফেরদৌস মাইকিংয়ের মাধ্যমে সবাইকে সতর্ক করে বলেন, কোরবানির পশুর রক্ত ও উচ্ছিষ্ট মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে। রাস্তায় হেলমেট ছাড়া বা উচ্চ গতিতে গাড়ি চালানো এবং পিকআপ কিংবা অটোরিকশায় সাউন্ড বক্স ব্যবহার করে ভ্রমণ নিষিদ্ধ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।