সত্যজিৎ দাস:
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে নরসিংদী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক শত মানুষ। নরসিংদীর মাধবদী এলাকার কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।
উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে। নিহতরা হলেন-
১) দেলোয়ার হোসেন (৩৭)
২) তার ছেলে ওমর ফারুক (১১)
৩) কাজম আলী ভূঁইয়া (৭৫)
৪) নাসির উদ্দিন (৬৫)
৫) ফোরকান (৪০)
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে,শহরের গাবতলী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে আসা ইটে দেলোয়ার ও তার ছেলে ওমর ফারুক নিহত হন। পলাশের ডাঙ্গায় নাসির উদ্দিন আতঙ্কে হৃদরোগে মারা যান। শিবপুরে ভূমিকম্পের সময় গাছ থেকে পড়ে ফোরকানের মৃত্যু হয়। পলাশের চরসিন্দুরে নিজ বাড়িতে মাটির ঘর ধসে চাপা পড়ে মারা যান কাজম আলী ভূঁইয়া।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলিতে পাঁচতলা ভবনের রেলিং ধসে তিনজন নিহত হন। তারা হলেন-
১) রাফিউল ইসলাম (সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী)
২) হাজী আব্দুর রহিম (৪৭)
৩) মেহরাব হোসেন রিমন (১২)
বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে রাজধানীর মুগদার মদিনা বাগ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মী মো. মাকসুদ (৫০) মারা যান। তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ইসলামবাগ এলাকায় ভূমিকম্পের সময় একটি টিনসেড বাড়ির দেয়াল ধসে এক বছর বয়সী শিশু ফাতেমা মারা যায়। এ ঘটনায় ফাতেমার মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ভূমিকম্প শুরুর মুহূর্তে ফাতেমাকে কোলে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তার মা। হঠাৎ পাশের একটি ইটের দেয়াল ভেঙে তাদের ওপর পড়ে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।



















