এবার সরকারি সহযোগিতায় পেলেন দোকান, তাতেই যেন সুখে আছেন তিনি। সরেজমিনে গেলে এমনটি জানান রেনু মিয়া।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের বাসিন্দা তিনি। বিরিশিরির কানিয়াইল ভুমিহীন ও গৃহহীন আশ্রয় প্রকল্পে একটি ঘর পেয়েছেন। সেখানেই দিয়েছেন দোকান। তার সংসারে আছে পাঁচ বছর বয়সি সন্তান ও স্ত্রী।
দোকান পেয়ে খুশি রেনু মিয়া। তিনি বলেন, সরকারিভাবে আমাকে ঘর দিয়েছে এখন একটা দোকানও দিয়েছে। আমি এখন আর ভিক্ষা করি না। আমার জমানো আরও ২০ হাজার টাকার মালামাল তুলেছি। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা বিক্রি হয় আমার দোকানে তাতেই চলে সুখে আছি।
অন্যদিকে এমন উদ্যোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিক্ষুকদের পূর্ণবাসনের কথা জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।
তিনি বলেন, সমাজসেবার মাধ্যমে ভিক্ষুকদের পূর্ণবাসনের জন্য একটি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দুর্গাপুরে যারা ভিক্ষুক আছেন তাদের কয়েক দফা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভিক্ষুক খুঁজে বের করেছি তাদের জীবিকা যোগানে বিভিন্ন দোকান দেওয়া হয়েছে। যেন ভিক্ষা ছেড়ে তারা ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে।
রেনু মিয়া ভিক্ষা ছেড়ে দোকান করেছেন তাতে প্রশংসিত হচ্ছেন আশপাশের মানুষের কাছেও। কেবল তিনিই নন, স¤প্রতি তারই মতো আরও তিনজন ভিক্ষুককে দোকান করে দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। তারাও ভিক্ষা ছেড়ে দোকান করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন এখন।