নিহত ফাহিম জয়পুরহাট সদর উপজেলার ইচুয়া মল্লিকপুর গ্রামের আহসান হাবিবের ছেলে। তিনি কলেজের অপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ ও সহপাঠীদের বরাতে জানা গেছে, ফাহিমের বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ভরিয়া গ্রামের জেসমিন আক্তার (১৩) নামে এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রোববার (১৭ আগস্ট) তাদের দেখা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়।
পরে সোমবার বিকেলে ফাহিম তার হোস্টেল কক্ষের ভেতরে ভিডিও কলে প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ করে কল চলাকালীন সময়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ঘটনার সময় তার রুমমেট কক্ষে ছিলেন না এবং দরজা ভেতর থেকে সিটকিনি দেওয়া ছিল।
তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী জানান, “সহপাঠীরা বিষয়টি জানালে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। দরজা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করে দেখা যায়, ফাহিম গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। অতঃপর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তারা থানায় এসে লিখিতভাবে জানান যে, এ ঘটনায় তাদের কোনো অভিযোগ নেই। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফাহিমের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে রংপুর সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা জানান, তিনি মেধাবী ও প্রাণবন্ত ছিলেন। এমন মৃত্যুতে তারা হতবাক।
বাংলাদেশে সম্পর্কের জটিলতা, মানসিক চাপ এবং হতাশা থেকে আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ-তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি না হলে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে।