close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভাটারায় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন: প্রধান অভিযুক্ত আলিনুর পাভেল গ্রেফতার, তদন্তে অগ্রগতি..

Jahid sumon Crime Correspondent avatar   
Jahid sumon Crime Correspondent
ভাটারায় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আলিনুর পাভেলকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। সিসিটিভি ফুটেজে অস্ত্রসহ তার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। তদন্ত চলছে, অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত।..

রাজধানীর ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও সহিংস আচরণের ঘটনায় আলোচিত প্রধান অভিযুক্ত আলিনুর পাভেল ওরফে পাভেল (৩২)–কে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

ডিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে আলিনুর পাভেলকে আটক করা হয়। তাকে ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট

 

১ এপ্রিল ২০২৫, গভীর রাতে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন জোয়ার সাহারা খাঁ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. রাশেদুজ্জামান রাজুর অভিযোগ অনুযায়ী, পূর্ব বিরোধের জেরে একটি প্রাইভেটকারযোগে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল তার বাড়ির সামনে আসে। অভিযুক্তরা সেসময় অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে, দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং বাড়ির গেইটে লাথি মেরে ভাঙচুর চালায়। তারা বাড়ির বাইরে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাও ভেঙে ফেলে।

 

ঘটনার সময় আশপাশের বাসিন্দারা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

 

তদন্ত ও গ্রেফতার

 

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয় ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)-গুলশান বিভাগ। তদন্তের অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে। ফুটেজ বিশ্লেষণে আলিনুর পাভেলকে ঘটনাস্থলে অস্ত্র হাতে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

 

এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান বিভাগের একটি টিম কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। ডিবি জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলছে।

 

চলমান অভিযান

 

ডিবি-গুলশান বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারা বলেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”

 

ঘটনার নেপথ্যে থাকা কারণ ও জড়িতদের পরিচয় শনাক্তে তদন্ত আরও বিস্তৃত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এমন প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া ও হুমকি-ধমকির ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। অনেকেই নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

 

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কৌশলগত নজরদারি, দ্রুত বিচার এবং আইনের কার্যকর প্রয়োগ জরুরি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আশ্বাস দিয়েছে, এ ঘটনায় কোনো অপরাধী যাতে দৃষ্টির আড়ালে না থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে।

 

لم يتم العثور على تعليقات