ভারতীয় গণমাধ্যম ‘শিলং টাইমস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) সীমান্তবর্তী রংদাংগাই গ্রামে এক যুবকের ওপর হামলা, অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এ পাঁচজনকে আটক করা হয়। হামলার শিকার ২১ বছর বয়সী যুবকের নাম বলসরাং এ. মারাক।
স্থানীয় সূত্র ও প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, আটক চারজনকে প্রথমে গ্রামবাসীরা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ভিডিওতে হিন্দি ভাষায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় একজনকে বলতে শোনা যায়, “আমরা শেখ হাসিনার দল করতাম। অবৈধ সরকার এ দেশে চলে এসেছে, তখন আমাদের এই পথে নিয়ে এসেছে।” ভিডিওতে আটক ব্যক্তিদের কারও হাতে দড়ি বাঁধা ছিল এবং তাদের শরীরে শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন স্পষ্ট দেখা গেছে।
শনিবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও মেঘালয় পুলিশের যৌথ অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন—জামালপুরের জাহাঙ্গীর আলম (২৫), মারুফুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের সায়েন হোসেন এবং কুমিল্লার মাহফুজ রহমান। এর মধ্যে মারুফুর রহমান নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
পরদিন রবিবার সকালে গ্রামবাসীদের সহায়তায় পঞ্চম সন্দেহভাজন মোবারক মিয়াকে আটক করা হয়। তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
মেঘালয়ের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘হাইল্যান্ড পোস্ট’ জানিয়েছে, অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে বাংলাদেশের পুলিশ কনস্টেবলের একটি পরিচয়পত্র, হাতকড়া, ম্যাগাজিনের কভার, পিস্তল হোলস্টার, রেডিও সেট, মোবাইল ফোন, মুখোশ, কুঠার, তার কাটার যন্ত্র এবং বাংলাদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বি. জিরওয়া জানান, গ্রামবাসীদের সহায়তায় এবং যৌথ বাহিনীর তল্লাশিতে সীমান্তবর্তী বনাঞ্চল থেকে সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, “হামলা ও অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”