ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। স্মার্ট, পরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খল একটি আধুনিক মডেল উপজেলা হিসেবে ভালুকা আজ রূপ নিচ্ছে এক নতুন বাস্তবতায়। এই পরিবর্তনের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, যিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ভালুকাকে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ উপশহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে।
শহরের প্রাণকেন্দ্র বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে সৌন্দর্যবর্ধনের বিভিন্ন প্রকল্প, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, যানজট নিরসন, অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এ যেন এক নতুন ভালুকার যাত্রা—যা কল্পনায় নয়, বাস্তবেই ধরা দিয়েছে।
তবে, এই ইতিবাচক পরিবর্তনের মাঝেও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উন্নয়নের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সচেতন নাগরিকদের মতে, যারা উন্নয়নের বিরোধিতা করে, তারা ভালুকার মঙ্গল চায় না—তারা জনগণের শত্রু।
ভালুকার সাধারণ জনগণ, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সংগঠনগুলো এই পরিবর্তনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে। ভালুকা বাজার মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সমর পাঠান ইউএনও’র এই সাহসী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "ইউএনও`র হাত ধরেই ভালুকা বদলাচ্ছে। আমরা তাঁর সঙ্গে আছি। এই উন্নয়ন যাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। দালালচক্রের ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না।"
‘বিউটিফুল ভালুকা’ গড়ার এই ভিশন শুধু একটি উন্নয়ন প্রকল্প নয়, এটি একটি আশাবাদী ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি—যেখানে নাগরিক সেবা, পরিকাঠামো এবং পরিকল্পনার সমন্বয়ে গড়ে উঠবে বাসযোগ্য, মানবিক ও সচেতন এক আধুনিক উপজেলা।