close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ভালুকায় বেড়েছে চুরির ঘটনা, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

Taiyeb ibna Faruquei avatar   
Taiyeb ibna Faruquei
ভালুকা উপজেলায় চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও চুরি হচ্ছে— এমন অভিযোগে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর প..


ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও চুরি হচ্ছে— এমন অভিযোগে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় চোরচক্র দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৭–৮টি চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে নাফিস নামের এক ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল চুরি, এক রাজনৈতিক নেতার মোটরসাইকেল চুরি এবং একটি বাড়ির গোডাউন থেকে মূল্যবান মালামাল চুরির ঘটনা বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন ছোট ছোট চুরি প্রায় অহরহ ঘটছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলা সদরের পোস্ট অফিস রোড ও পাইলট স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। এই দুই এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই বাসাবাড়ি বা দোকানপাটে চোরের হানা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী শরিফুর রহমান রাতুল জানান, গত দুই সপ্তাহে অন্তত কয়েকটি  দোকানে চুরির চেষ্টা করেছে চোর চক্র,  এতে স্থানীয় ব্যবসায়িক সমাজ আতঙ্কিত। 
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের ধারণা— এলাকার কিছু ভাড়াটিয়া এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তারা দিনের বেলা সাধারণ মানুষের চলাফেরা লক্ষ্য করে তথ্য সংগ্রহ করে, এরপর রাতের বেলায় চুরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান “আমাদের এলাকায় রাতের বেলায় অপরিচিত লোকজন ঘোরাফেরা করে। আমরা সন্দেহ করছি, তারা চুরির আগে গোয়েন্দাগিরি করে।”

চুরির এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এক গৃহিণী জানান, “আমাদের বাড়ির সামনে কয়েকদিন ধরে অচেনা ছেলেরা দাঁড়িয়ে থাকছে। আমরা এখন রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারি না।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভও বেড়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন, চুরির ঘটনা ঘটলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থানায় জিডি বা অভিযোগ করেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফলে চোরচক্র আরও সাহসী হয়ে উঠছে।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত এসব চুরির ঘটনা রোধে পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে পাহারা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং ভাড়াটিয়াদের তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভালুকার সচেতন মহল মনে করছেন, বেকারত্ব, মাদকাসক্তি এবং সামাজিক অবক্ষয় এই চুরির মূল কারণ। তারা বলছেন, প্রশাসন ও সমাজের অভিভাবক শ্রেণি একসাথে এগিয়ে না আসলে এ ধরনের অপরাধ ঠেকানো সম্ভব হবে না।
এখন সাধারণ মানুষের একটাই দাবি— “চুরি বন্ধ হোক, এলাকায় শান্তি ফিরুক।”

کوئی تبصرہ نہیں ملا