ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: সম্প্রতি ভালুকা বাজারে মালবাহী গাড়ি ও ট্রাক থেকে "লোড-আনলোড" ফি আদায় নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক। বিষয়টি প্রথমে আলোচনায় আসে ভালুকা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম ফিরোজ আহম্মেদের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে।
তিনি অভিযোগ করেন, "যেহেতু বাজার ইজারা হয়েছে, তাহলে লোড আনলোডের কথা বলে কেন মালবাহী ট্রাক ও গাড়ি থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে? এতদিন তো এরকম কোনো টোল বা চাঁদা আদায় হতো না। হঠাৎ করে এই টোল আদায় কীভাবে শুরু হলো?"
তিনি আরও জানান, বৈশাখ মাসে বাজার ইজারা হওয়ার সময় তিনি সহ কয়েকজন দরপত্র কিনেছিলেন, তখন ইজারা শর্তে মালবাহী গাড়ি বা লোড আনলোড সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা ছিল না। এমনকি গাড়ি পার্কিংয়ের নামেও কোনো আলাদা দরপত্র ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
এই স্ট্যাটাসের জবাবে বর্তমান ইজারাদার আমিনুল ইসলাম পাপ্পু সামাজিক মাধ্যমে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "আমি ভালুকা বাজারের একজন বৈধ ইজারাদার। কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেখলাম, যেখানে আমার নামে লোড-আনলোড রশিদ প্রদর্শন করা হয়েছে। আমি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি-এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার শান্তিপূর্ণ ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু ব্যক্তি অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।"
তিনি আরও জানান, "সরকারিভাবে আমার কাছে যে সকল পণ্যের ইজারা তালিকা রয়েছে, তা আমি নিচে প্রকাশ করেছি। দয়া করে এর বাইরে কোনো পণ্যের খাজনা দিবেন না। যদি কেউ জোরপূর্বক খাজনা আদায় করে, তাহলে উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা কিংবা সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি। আমি অনৈতিক বা অবৈধ কোনো কাজ বরদাস্ত করবো না এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।"
স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে এ ধরনের বিভ্রান্তি আরও বাড়তে পারে।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			