ভাবি-ভাতিজিসহ ৩ জনকে হত্যা, দেবরের মৃত্যুদণ্ড

Nahid Hasan avatar   
Nahid Hasan
****

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জের মাধবপুরে পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাবি ও ভাতিজিসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় দেবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।"

মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. আফজাল হোসেন।"

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) উপজেলার বীরসিংহপাড়ার প্রয়াত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। রায় ঘোষণা শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।"

নিহতরা হলেন- বীরসিংহপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫), তার মেয়ে শারমিন আক্তার (২৩) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল আলীমের ছেলে শিমুল মিয়া (২৫)।"

হবিগঞ্জ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মুখলেছুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় শাহ আলম তার ভাবি জাহানারা ঘরে প্রবেশ করে মা ও মেয়েকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় আহতদের চিৎকার শুনে শিমুল এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।"

এতে জাহানারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর বাকি দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় সময় জাহানারার স্বামী গিয়াস উদ্দিন দুবাইয়ে ছিলেন।"

পরে গিয়াস উদ্দিনের ভগ্নিপতি হাজী মো. মোহন মিয়া একমাত্র আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন বলে জানান মুখলেছুর রহমান।"

তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারের পর শাহ আলম আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি তিনি বলেন, গ্রীসে থাকার সময় জাহানারাকে কয়েক দফা টাকা পাঠান শাহ আলম। এ ছাড়া পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভে দেশে ফিরে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন তিনি।''

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর মাধবপুর থানা পুলিশ আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করে বলে জানান পিপি আফজাল হোসেন।''

১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।''

জাহানারার স্বামী গিয়াস উদ্দিন বলেন, “আমি আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।”

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পিপি আফজাল হোসেন বলেন, এ রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলে মানুষ এমন অপরাধ করতে ভয় পাবেন।''

لم يتم العثور على تعليقات


News Card Generator