বগুড়া সোনাতলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ জন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। বুধবার বিকেলে উপজেলার আড়িয়াঘাট বাঙ্গালী ব্রিজ এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই একটি অসাধু চক্র এই এলাকার বাঙ্গালী নদী থেকে অবৈধভাবে শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ছিল এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এর প্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর বগুড়া (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) জোনের ক্যাপ্টেন আরাফাত।
অভিযান পরিচালনার সময় ৭ জনকে আটক করে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ) ও ১৫(১) ধারায় ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটকৃতরা হলেন, উপজেলার শালিখা গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে মোস্তাফিজার, চান মিয়ার ছেলে শাহালম, চর বিশ্বনাথপুর গ্রামের ফরিদ আকন্দের ছেলে জাকিরুল ইসলাম, মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম, গাইবান্ধার সাগাটা উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের অখর আলীর ছেলে মোনজার রহমান, বাজিতনগর এলাকার আলতাফ আলীর ছেলে তনু মিয়া, এবং গাবতলী উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে আব্দুল মমিন।
পরে আড়িয়াঘাট ব্রিজের নিচে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৮টি ড্রেজার মেশিন আগুনে পুড়িয়ে ও গুড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, "বাঙ্গালী নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং নদী ভাঙন প্রতিরোধে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছিল। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিচালিত এই অভিযানে অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ৭ জনকে আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং তাদের ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। জনস্বার্থে এবং পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।"



















