নিউজ ডেক্সঃ
বরগুনার বেতাগীতে আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারা অমান্য করে জোরপূর্বক অন্যের জমি দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কঠোর বার্তা দিলেও তা উপেক্ষা করে অদৃশ্য ক্ষমতায় কাজ চলমান রাখে অভিযুক্তরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাহমুদা কালভার্ট এলাকায় ১৫০ নং খতিয়ানের ১৩৩ নং দাগে মায়া বেগম মৈউরির থাকা পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করে একই স্থানের নান্না হাওলাদার, শামছু হাওলাদার ও জাহাঙ্গীর হাওলাদার।
নিজের জমি দখলের হাত থেকে রক্ষা করতে আদালতে অবহিত করলে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এরপরও নান্না গংয়েরা একটি সন্ত্রাসী দলকে ভাড়া করে কাজ চলমান রাখে। পরে ভুক্তভোগীরা বাধা দিলে স্থানীয় ভাড়াটে মো.শাহীন ওরফে চোরা শাহীনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন তাদেরকে জমিতে আসতে বাধা দেয়।
বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বিপুল সিকদারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রশাসন কঠোর বার্তা দেয় অভিযুক্তদের। কিন্তু প্রশাসনের এমন কঠোর বার্তা উপেক্ষা করে জমিতে বিল্ডিংয়ের কাজ চলমান রাখে।
মায়া বেগম অভিযোগ করে সিপাহী টিভিকে বলেন,
আমার বাবার জমি, কাগজে কলমেও আমি পাইছি। নান্নু,শামছু ও জাহাঙ্গীর আমারে হয়রানি করতে করতে অতিষ্ঠ কইরা ফালাইছে এই জমি দখলে নেওয়ার লইগা। এলাকার মুরুব্বিরা জমি মেপে দেয় ঝামেলাও শেষ হয় কিন্তু ৫ তারিখের পর চোরা শাহিন আছে ওরে ভাড়া করে আইনা বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু করে। আমরা আসলেই পোলাপানগুলো গালিগালাজ করে যা শোনার মতন ক্ষমতা নেই। আমার ভাই রিপন আসলে ওরেও হুমকি দেয়। ওর কাছে পাচ লাখ টাকা চাঁদা চায়। এনিয়েও অনেক হুমকি শুনে এখন ঢাকা চলে গেছে। আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও তারা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কাজ করায়। আমি এর বিচার চাই।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বিপুল সিকদার জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তাদেরকে সতর্ক করা হয়।