বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের সাথে কোনও আপস নয়’: নজরুল ইসলাম খানের জ্বালাময়ী হুঁশিয়ারি!
ঢাকা, ১৯ মে
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ফের কঠোর অবস্থান ঘোষণা করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সোমবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,
“বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনও আপস নয়। বরং কেউ তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে বাধা দেয়া হবে।”
নজরুল ইসলাম খান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অতীতের নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন,
“এই দলের হাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। খুন, গুম—কিছুই বাদ রাখেনি।"
তিনি সরকারের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, “সংস্কারের জন্য যা যা প্রয়োজন, অধ্যাদেশ জারি করে এখনই করে ফেলা সম্ভব। নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই নেওয়া উচিত।”
নির্বাচন পেছানোর কোনও যুক্তি নেই, ব্যাখ্যা চাই সরকারকে
বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বর্তমান সরকারের নির্বাচন পেছানোর সম্ভাব্য পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দেগেছেন।
তিনি বলেন,
“সরকার যদি ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন নিতে চায়, তাহলে জনগণকে তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। কোনও রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতে বা জোট বাঁধার সুযোগ করে দিতে যদি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না।”
তিনি আরও বলেন, এই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নেই।
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে জনগণ অংশ নেবে না, এটিই এখন দেশের সার্বিক চিত্র।
আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের চেষ্টাকে বাধা দেবে জনগণ
নজরুল ইসলাম খান বলেন,
“যারা বাংলাদেশকে একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে গেছে, তাদের কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে তা রুখে দেবে জনগণ। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।”
তিনি বিএনপি ও ১২ দলীয় জোটের আন্দোলনের বিষয়েও বলেন,
“এই আন্দোলন সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ তৈরি করবে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী যতই পরিকল্পনা করুক, জনগণই তাদের চূড়ান্ত রায় দেবে।”
আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণ!
আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে সরকার নির্বাচন পেছানোর ফাঁদ পাততে পারে বলেও আশঙ্কা করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন,
“এখন সময় সংস্কারের, এখন সময় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি প্রতিষ্ঠার। সরকারের ভণ্ডামি আর টালবাহানা জনগণ আর মেনে নেবে না।”
এই বক্তব্যটি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিএনপি তার রাজনৈতিক অবস্থানে কোনও নমনীয়তা দেখাতে রাজি নয়।
নজরুল ইসলাম খানের এই মন্তব্য শাসক দলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আগামী নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দুই প্রধান রাজনৈতিক শিবিরের মুখোমুখি অবস্থান আরও দৃঢ় হচ্ছে।
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের প্রতি তীব্র রাজনৈতিক আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আসন্ন নির্বাচন ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে উত্তেজনার পারদ আবারও চরমে উঠে গেছে।
