সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা না আসায় নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগস্টেই বাংলাদেশ সফরে আসবে ভারত দল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত এলে, সেটিকে গুরুত্ব দিয়েই পদক্ষেপ নেবে বোর্ড।
আগস্টে বাংলাদেশে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। সিরিজের সূচি নির্ধারিত হয়েছিল আগেই। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক কিছু জটিলতায় তা ঘিরে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। বিশেষ করে পাকিস্তানসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি সফরে ভারতের সরকারি হস্তক্ষেপ দেখা গেছে আগের বছরগুলোতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা ওঠে, বাংলাদেশ সফরেও সরকারের সম্মতি লাগবে কি না। যদিও এ বিষয়ে বিসিসিআই বা বিসিবির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি সিরিজ বাতিল বা স্থগিতের বিষয়ে। সরকারের পক্ষ থেকেও আসেনি কোনো নেতিবাচক বার্তা। বরং সবকিছু ইতিবাচকভাবেই এগোচ্ছে। বিশেষ করে গেল এক দশকে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ওয়ানডে সিরিজ না জেতার আক্ষেপ এবার ঘোচাতে চায় ভারত। তাই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে রেখে সাজানো হচ্ছে শক্তিশালী দল ও টেকটিকস। টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর এই দুই তারকার এটিই হতে পারে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ—তাও আবার বাংলাদেশের মাটিতে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ১৭ আগস্ট মিরপুরে শুরু হবে সিরিজ। বিসিবি পরিচালক ফারুক আহমেদ গেল এপ্রিলেই এই সূচি ঘোষণা করেছিলেন। ২৩ আগস্ট চট্টগ্রামে শেষ হবে ওয়ানডে সিরিজ। এরপর সেখানেই ২৬ আগস্ট শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যার শেষ ম্যাচ ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরে।
বিশেষ দিক হলো—ভারত কখনোই বাংলাদেশে এসে পূর্ণাঙ্গ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেনি। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এবার প্রথমবারের মতো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সফর করছে লাল-সবুজের মাটিতে। যদিও হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের কারণে এই সিরিজে দেখা নাও যেতে পারে ভারতের নিয়মিত টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে।
উল্লেখ্য, ভারতের মাটিতে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। এবার ইতিহাস বদলানোর সুযোগ থাকবে সাকিব-তামিমদের সামনে।