বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা নতুন মাত্রা পেতে যাচ্ছে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ঢাকাস্থ চায়না দূতাবাসে আয়োজিত এক ড্রোন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই সাংস্কৃতিক বন্ধন দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি করবে এবং নতুন উদ্যম সৃষ্টি করবে।
ফারুকী বলেন, 'ড্রোন গল্প বলার একটি নতুন মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এটি প্রযুক্তি ও শিল্পের একটি ফিউশন এবং ন্যারেটিভ তৈরির অন্যতম অবলম্বন।' সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সহযোগিতায় প্রদর্শিত ড্রোন শোগুলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে ফারুকী ঘোষণা করেন, চিত্রকর্ম সংরক্ষণে প্রশিক্ষণ নিতে ১৫ সদস্যের একটি বাংলাদেশী দল শীঘ্রই চীন সফর করবে। এই দল দেশে ফিরে এসে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। এছাড়া, মিউজিয়ামের প্রসারের ক্ষেত্রেও একটি টিম চীন যাবে। চীনের সাংহাই ও গুয়াংজুতে মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে এবং এর যাবতীয় ব্যয় চীন বহন করবে।
ফারুকী আরও বলেন, ট্র্যাডিশনাল মিডিয়া ও নিউ মিডিয়ার প্রসার এবং কালচারাল হেরিটেজ সংরক্ষণে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও চীনের মধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ সময়, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এই সব ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এই সাংস্কৃতিক উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উভয় দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা আগামী দিনগুলিতে আরও গভীর ও বিস্তৃত হবে।