close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস সিরিজের প্রতিটি ম্যাচের আয়োজক সিলেট..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বহুল অপেক্ষাকৃত এশিয়া কাপ। এর আগে প্রস্তুতি স্বরুপ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ..

এখনো সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে ক্রিকেট অপারেশন চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানিয়েছেন, সিরিজের সকল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। 

সিরিজ শুরুর আগেই সিলেটে প্রস্তুতি ক্যাম্প করবে লিটন বাহিনী। এছাড়া ৬ আগস্ট ঢাকায় শুরু হবে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরিক্ষা। এই ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে ১১ আগস্ট থেকেই কোচ ও সাপোর্ট স্টাফরা বাংলাদেশে পা রাখবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। 

নাজমুল আবেদিন ফাহিম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘৬ তারিখে ঢাকায় ক্যাম্প শুরু হবে। সবাই আসবে, ফিটনেস দিয়ে শুরু হবে। তারপর কোচরা চলে আসবে ১১, ১২, ১৩. তারিখ...এরকম সময়ের মধ্যে কোচরা আসা শুরু করবে। কোচরা আসা শুরু করার পর এখানে স্কিলের কাজ শুরু হবে। তবে এখান থেকে ক্যাম্পটা চলে যাবে। আমরা আশা করছি ক্যাম্পটা চলে যাবে সিলেটে। সিলেটে কিছুদিন অনুশীলন করবে। তারপর ইনশাআল্লাহ আমরা নেদারল্যান্ডসের সাথে সেখানে সিরিজটা খেলবো।’

এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে আবুধাবিতে। আরব আমিরাতের প্রতিটি উইকেট হয়ে থাকে রান বান্ধব। তবে, আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ব্যাটসম্যানরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। সেই কন্ডিশনকে মাথায় রেখে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে। ফাহিম মনে করেন, সিলেটের মাটিতে খেললে বাংলাদেশের প্রস্তুতি আদর্শ প্রস্তুতি হবে। 

তিনি আরো বলেন, আমরা তো ওইভাবে উইকেট তৈরি করতে পারব না। আমাদের এখানে সম্ভাব্য সেরা উইকেট খুব সম্ভবত সিলেটে। যেখানে একটু রান হয়। টি-টোয়েন্টিতে এমন উইকেট দরকার যেখানে রান হবে। বাংলাদেশের মধ্যে সিলেটই বোধহয় সেই জায়গা। আমরা চেষ্টা করব সিলেটে খেলাগুলো দিতে। সুতরাং আমাদের পক্ষে আদর্শ প্রস্তুতি বলতে যা বোঝায় আমরা যেন সেটা করতে পারি।'

বরাবরই আলোচনা - সমালোচনায় থাকে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের পিচ। এমন পিচ ক্রিকেটারদের জন্য সুবিধাজনক না- এমন মন্তব্য করেন অনেকেই। এমন উইকেটে খেলে এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হবে না বলে কড়া সমালোচনা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ মাইক হেসন।

এছাড়া লিটন সহ অনেক ক্রিকেটাররা আরেকটু ভালো উইকেটে নিজেদের প্রস্তুতির আহ্বান জানান। লিটন দাসও এমন উইকেটে এশিয়া কাপের আদর্শ প্রস্তুতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। পুরো উইকেটের চিত্র বদলে ফেলার পরিকল্পনা করছে বিসিবি। ফাহিম জানিয়েছেন সিলেটে অন্তত ১৭০-১৮০ রানের উইকেট চান তারা। ২০০ রানের উইকেট বানানো সম্ভব হলে সেটাই প্রত্যাশা তাদের।

এই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উল্লেখ করেন, 'হ্যাঁ, অবশ্যই। যদি ৩০০ রানের উইকেট বানাতে পারি তাহলে আমরা তাই চাইব। সেটা তো সম্ভব হবে না। ৩-৪ দিন আগে আমি সিলেট গিয়েছিলাম এবং উইকেট দেখেছি, ভালো ব্যাটিং উইকেট বানানো যায়। আগেও দেখেছি সেটা। আমাদের হাতে এখনো বেশ সময় আছে এবং আমরা মোটামুটি ভালো উইকেট না বানাতে পারার কোনো কারণ নেই। অবশ্যই, এমন উইকেট না যেখানে ১৩০-১৪০ রান করতে কষ্ট হবে। আমরা চাইব অন্তত ১৭০-১৮০ রানের উইকেট হোক, সম্ভব হলে ২০০ রানের উইকেটও হোক।'

Nessun commento trovato