বান্দরবান প্রতিনিধি: মোঃ হাসান
তারিখ: ১৯ আগস্ট ২০২৫
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে সামাজিক সালিশি বিচারে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাইন্দু ইউনিয়নের পাইন্দু হেডম্যান পাড়ায় মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় সামাজিক নালিশি বিচার বসানো হয়। সালিশি বিচারের নেতৃত্ব দেন পাইন্দু ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও নিষিদ্ধ ঘোষিত পাইন্দু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গংবাসে মার্মা এবং পাইন্দু মৌজার হেডম্যান মংচউ মার্মাগং। এতে সভাপতিত্ব করেন পাইন্দু পাড়ার প্রধান কারবারী থোয়াইসা মার্মা।
ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, চলতি মাসের শুরুতে পাইন্দু হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা রাংমেশে মার্মার ছেলে শৈহাইনু মার্মা তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার বন্ধুদের মাধ্যমে আরও চারজন—ক্যাহ্লা ওয়াইং, ক্য ওয়ং সাই, চহাই, উহাই সিং ও ক্য সাই ওয়ং—ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে একে একে ধর্ষণ করে। বিষয়টি পরিবারের কাছে প্রকাশ পায় এবং পরবর্তীতে সামাজিক সালিশি বিচার অনুষ্ঠিত হয়।
মেম্বার গংবাসে মার্মা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা কয়েক দিনের মধ্যে জমা দিলে তা ভুক্তভোগীকে প্রদান করা হবে। তিনি আরও বলেন, সামাজিক সালিশি বিচার আয়োজন করা হয়েছে ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবারের অনুরোধে।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, “আমরা বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী শারীরিক অসুস্থ থাকায় সরাসরি মন্তব্য করতে পারেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী বা তার অভিভাবক থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। সামাজিক সালিশি বিচারের ন্যায়সঙ্গতা ও মানবিক দিক নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।