প্রতিপক্ষের জালে গোল উৎসব করে ইতিহাস গড়েছে তারা—এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের এটিই প্রথম জয়।
সেই ঐতিহাসিক জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। এবার প্রতিপক্ষ র্যাংকিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা স্বাগতিক মিয়ানমার। ম্যাচটি হবে তাদের হোম ভেন্যু ইয়াঙ্গুনে, যেখানে পরিবেশ, আবহাওয়া, সমর্থন—সবকিছুই স্বাগতিকদের পক্ষে।
তবে এই সব হিসেব-নিকেশকে পাত্তা দিতে নারাজ বাংলাদেশ শিবির। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে তারা। দুইবারের সাফজয়ী মেয়েরা এখন দক্ষিণ এশিয়ার সীমানা ছাড়িয়ে এশিয়ান মঞ্চে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে বদ্ধপরিকর।
সফরের শুরু থেকেই গুছিয়ে পরিকল্পনা করছে পিটার বাটলারের দল। মিয়ানমারে পৌঁছে প্রথম ম্যাচের আগে টানা তিনদিন অনুশীলন করেছে তারা। বাহরাইনের বিপক্ষে বড় জয়ের পরদিন অনুশীলন না করলেও হোটেলেই রিকভারি সেশন ও সুইমিংয়ের মাধ্যমে শরীরচর্চায় সময় কাটিয়েছে আফঈদা, তহুরা, ঋতুপর্ণারা। পরদিন হালকা স্ট্রেচিং ও গ্রুপ আলোচনা—সব মিলিয়ে প্রস্তুতির ঘাটতি রাখেননি কেউ।
ম্যাচের আগেই দলের সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু জানিয়ে রেখেছেন,
‘ম্যাচটি কঠিন হবে, সন্দেহ নেই। মিয়ানমারের র্যাংকিং ৫৫, আমরা অনেক পিছিয়ে। তবে আমি র্যাংকিং দেখি না। মাঠে যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ফল আমাদের পক্ষেই আসবে।’
মিয়ানমারও তাদের প্রথম ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। তাই স্বাগতিকদের ছন্দ বাংলাদেশের জন্য হতে পারে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু বাংলাদেশও এখন শুধু এক ম্যাচ জিতে খুশি থাকার দলে নয়। তারা চায় ম্যাচ বাই ম্যাচ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে।
দলের অন্যতম ভরসা, মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন,
‘আমরা প্রথম ম্যাচে দারুণ খেলেছি। এখন লক্ষ্য মিয়ানমার। কোচ যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন, আমরা সেভাবেই কাজ করছি। মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলেই ভালো কিছু হবে।’
আগামী ২ জুলাই স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ নারী দল। জয় দিয়ে ইতিহাস শুরু করেছে তারা—এগিয়ে যেতে চায় একই ছন্দে, একই সাহসে, একই স্বপ্নে।