close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বাগেরহাটে শিক্ষকদের কর্ম বিরতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা অচল ..

আসাদুজ্জামান শেখ সোবহান, জেলা প্রতিনিধি avatar   
আসাদুজ্জামান শেখ সোবহান, জেলা প্রতিনিধি
****

 বাগেরহাট প্রতিনিধি 

বাগেরহাটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে যেন এক অদৃশ্য অন্ধকারের পর্দা টেনে দিয়েছে কর্মবিরতির ঝড়, যেখানে শিক্ষকদের ন্যায় বিচারের চিৎকারে ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নে নেমেছে উদ্বেগের ছায়া। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০% বাড়ি ভাড়া, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব ভাতার দাবিতে—এবং গতকাল ঢাকায় পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জ ও জলকামানের হীনমন্যতার প্রতিবাদে—জেলার প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার (১৩ অক্টোবর) লাগাতার কর্মবিরতি পালিত হয়েছে, যা শিক্ষার জীবনরেখায় যেন এক গভীর ক্ষতচিহ্ন হয়ে উঠেছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা উপস্থিত হলেও ক্লাস, পরীক্ষা ও অন্যান্য কাজ বর্জন করে দাঁড়িয়ে আছেন দাবির অটল দুর্গে, যেন এই প্রতিবাদের আগুন বাগেরহাটের মাটিতে জ্বলে উঠে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।

বেলা বারোটা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকলেও কোনো ক্লাস হয়নি—শ্রেণিকক্ষগুলো যেন নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সংগ্রামের। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের মাঝে পুলিশের ছত্রভঙ্গ, লাঠিপেটা ও জলকামানের নির্মমতা শিক্ষকদের হৃদয়ে জাগিয়েছে অপমানের অগ্নিকুণ্ড, যা আজ বাগেরহাটের প্রতিটি ক্যাম্পাসে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। একজন শিক্ষক বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষকরা যেন শিক্ষকদের প্রতি হীনমন্যতার চরম অবতার দেখিয়েছে; এর সুষ্ঠু সমাধান না হলে এবং আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে—যেন সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে না পড়ে।”

শিক্ষকরা জানান, সামান্য বেতন-ভাতায় এই পেশায় নিবেদিত হয়ে থাকা সত্ত্বেও পুলিশের এমন আচরণের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা, এবং দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন—যেন এই সংগ্রাম শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এক অটল দাবির দুর্গ হয়ে উঠবে। বাগেরহাটের এই কর্মবিরতি দেশব্যাপী আন্দোলনের অংশ, যা শিক্ষকদের অধিকারের যুদ্ধে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতকে যেন এক অসমাপ্ত প্রশ্নচিহ্নে রেখে দিয়েছে।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator