আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বৃহস্পতিবার ঢাকায় রয়েল থাই অ্যাম্বেসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আসিয়ান দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধন ও সংস্কৃতির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, 'ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাসে রচিত এ সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে। আসিয়ান দেশগুলোর মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বন্ধন দীর্ঘকালের। এই সম্পর্কের ভিত্তিতে আমরা অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারি।'
তিনি আরও বলেন, 'আসিয়ান পর্যটন, বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যথাযথ উদ্যোগ নিলে এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা সম্ভব।'
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হারিস বিন উসমান ও মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার সুহাদা উসমান। তাঁরা আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৬৭ সালের ৮ আগস্ট আসিয়ান গঠিত হয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই ধরনের আঞ্চলিক সহযোগিতা বহুমুখী উন্নয়নের পথে অন্যতম সহায়ক হতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। পাশাপাশি, সাংস্কৃতিক যোগাযোগের মাধ্যমে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নও সম্ভাব্য।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং এটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।