close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আশুলিয়ায় সাংবাদিককে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ২

MD Ridoy shikder avatar   
MD Ridoy shikder
হদয় শিকদার :আশুলিয়া

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে আশুলিয়ায় বেসরকারি চ্যানেল ৭১ টেলিভিশনের আশুলিয়া প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম অনিককে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ..

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিককে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার খাদাইল মিঠাপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদের ছেলে মো. ইমন ওরফে  (৩২) ও মো. জাহিদ হোসেন (২৩)।

হামলার শিকার ৭১ টেলিভিশনের আশুলিয়া প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম অনিক বলেন, গতকাল সোমবার রাতে একটি অনুসন্ধান শেষ করে চায়ের দোকানে যাচ্ছিলাম। সেখানে আগে থেকে দুইজন মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। পরে সেখান থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা হলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে আমার পিছু নেন। আমি বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এসে পৌঁছলে তাদের আরো একটি প্রাইভেটকারে চারজনকে দেখা যায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালান ও প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সবাই পালিয়ে যায়। সেসময় দুজনকে আটক করে থানায় খবর দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, আমার অনুসন্ধান ছিল- ফার্মেসি নামের আড়ালে মাদক দ্রব্য সরবরাহ ও বিক্রি নিয়ে। এর কারণেই তারা আমাকে টার্গেটে রাখেন। তারা জানত আমি কাজ শেষে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় যাব। তাদের পরিকল্পনা ছিল যেকোনোভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে আমাকে অপহরণ করা। সেসময় তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে ওই স্থান ত্যাগ করি। কিন্তু তারা পিছু নেন এবং তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই দেশীয় অস্ত্র ও প্রাইভেটকার নিয়ে বাইপাইল আমার বাসায় যাওয়ার সড়কে অবস্থান নিয়ে রাখেন। তারা চেষ্টা করেছেন আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার। একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারার চেষ্টা করেছেন কিন্তু আঘাত লাগেনি। বাকিরা মারধর করেছেন। সেসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে প্রাইভেটকার নিয়ে চারজন পালিয়ে যান। বাকি দুজন মোটরসাইকেল স্টার্ট না হওয়ায় পালিয়ে যেতে পারেননি। পরে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে তারা আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পরই কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার দুইজনকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

לא נמצאו הערות