আশুলিয়ায় কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে নির্যাতন, মুক্তিপণ দাবি
হৃদয় শিকদার : আশুলিয়া প্রতিনিধি
আশুলিয়ায় এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মারধর ও ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. খোকন মিয়া।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন। এর আগে, গত সোমবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে জিম্মি করে মারধর করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পূর্ব হারিয়াবাড়ী এলাকার মো. ইসমাইল হোসেন (৫৫), তার ছেলে মো. সিফাত (২৫), ভাই মো. জলিল হোসেন (৪৫) এবং একই এলাকার মো. আব্দুস সালাম (৪২)। তারা সবাই ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান মনসুরনগর এলাকার রনি সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. খোকন মিয়া (৪৩) কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার শ্যামপুর এলাকার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পানধোয়া এলাকায় বসবাস করে কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. খোকন মিয়া জানান, গত ১৬ মে অভিযুক্ত সিফাতের সঙ্গে তার ভাতিজি সোনিয়া আক্তারের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে সিফাত আমার ভাতিজির সঙ্গে সাংসারিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করাসহ প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে সোনিয়া তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, উক্ত ঘটনার জের ধরে অভিযুক্তরা ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমাকে আমার বর্তমান ঠিকানার বাসা থেকে আমবাগান মনসুরনগর এলাকায় তাদের ভাড়া বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ইসমাইলের নির্দেশে সিফাত, জলিল ও সালামসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাদের বাসার একটি কক্ষে আটকে রেখে আমাকে কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। আমার ভাতিজিকে তাদের কাছে বুঝাইয়া না দিলে চার লাখ টাকা দাবি করে। এসময় আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে রাত ২টার দিকে আমার পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় ওই কক্ষ থেকে আমাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
					
					
					
					
					
					
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			