এই চুক্তির মাধ্যমে প্রায় ৩৫ বছর ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার পথ প্রশস্ত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের আশা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, "এখন থেকে তারা বন্ধু এবং দীর্ঘ সময় বন্ধু থাকবেন।"
চুক্তি স্বাক্ষর করেন, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান করমর্দন এবং এই মুহূর্তকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে অভিহিত করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, দুই দেশ পরস্পরের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে।
শান্তিচুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- দক্ষিণ ককেশাসে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কৌশলগত ট্রানজিট করিডরের একচেটিয়া অধিকার নিশ্চিত হওয়া। এটি জ্বালানি ও বাণিজ্য সংক্রান্ত রফতানিতে বড় সহায়তা করবে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে গণ্য হতে পারে। এতে মস্কোর প্রভাবশালী অবস্থান সংকুচিত হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ট্রাম্প আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে জ্বালানি, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে আলাদা আলাদা চুক্তিও করেছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো, আধুনিক প্রযুক্তিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি, আজারবাইজানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
শান্তিচুক্তির জন্য উভয় দেশের নেতাই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এই ঐতিহাসিক চুক্তি ককেশাস অঞ্চলের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য সম্ভাব্য সমাধানের পথ সুগম করেছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স