close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নারীকেন্দ্রের দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসে দ্বিতীয় পুরস্কার পেল আহ্ছানিয়া মিশনের নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক উৎসববন্ধনে অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন '২৫) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হাসান মারুফ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন দীর্ঘদিন ধরেই মাদকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সাল থেকে পুরুষদের এবং ২০১৪ সাল থেকে নারীদের মাদকাসক্তি চিকিৎসা প্রদান করছে। বর্তমানে মিশন গাজীপুর, মুন্সীগজ্ঞ এবং যশোরে পুরুষ মাদকাসক্তদের জন্য তিনটি এবং ঢাকার শ্যামলীতে নারী মাদকাসক্তদের জন্য একটি কেন্দ্র পরিচালনা করছে।

এই অর্জন প্রসঙ্গে আহ্ছানিয়া মিশনের পরিচালক বলেন, "আমাদের এই পুরস্কার প্রাপ্তি শুধু আমাদের কাজের স্বীকৃতি নয়, বরং এটি আমাদের আরও বেশি অঙ্গীকারবদ্ধ করে তুলেছে। আমরা মাদকাসক্তি সমস্যার সমাধানে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাব।"

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলছে। এটি শুধু ব্যক্তির জীবনকেই ধ্বংস করে না, বরং সামগ্রিকভাবে সমাজের স্থিতিশীলতায় বিঘ্ন ঘটায়। এই প্রেক্ষাপটে, আহ্ছানিয়া মিশনের কার্যক্রম সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং মাদকবিরোধী আন্দোলনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করছে।

মাদকবিরোধী কার্যক্রমের মাধ্যমে আহ্ছানিয়া মিশন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের মাধ্যমে নতুন জীবনের পথে ফিরিয়ে আনছে। এই কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে তারা শুধুমাত্র চিকিৎসা প্রদান করছে না, বরং মাদকাসক্তদের মানসিক ও সামাজিক পুনর্বাসনের জন্য প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিংও প্রদান করছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকাসক্তি সমস্যার সমাধান সম্ভব এবং সমাজে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যাবে। তবে, এই ধরনের উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সমর্থন ও সহযোগিতা বাড়ানো উচিত।

Nessun commento trovato