ফ্যাসিস্টরা যেন আর ফিরতে না পারে
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ১৬ বছরের স্বৈরাশাসকের পতনের মধ্যদিয়ে দেশ থেকে বিদায় নেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার। জুলাই আন্দোলনে হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু দেশি-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক দলের অনৈক্যের কারণে খুনিরা ফিরে আসার স্বপ্ন দেখে এখও। আজ ৩৬ জুলাইয়ে স্বৈরাচার পতনের প্রথম বর্ষে বাংলার জনগণকে শপথ নিতে হবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা যেন ফিরে আসতে না পারে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছর পূর্তি উপলক্ষে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলীতে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী, জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি), জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) দলের পৃথক বিজয় র্যালি ও সমাবেশ শেষে এসব ঘোষণা দেন দলের শীর্ষ নেতারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্ণফুলীর মইজ্জ্যেরটেক উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাষ্টার মনির আবছার চৌধুরী ও সেক্রেটারী নুর উদ্দিন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে এবং বিকেলে আনোয়ারার জামায়াতে ইসলামীর আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবদুর গণির সভাপতিত্বে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম -১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী।
উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকায় উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক এসএম মামুন মিয়ার নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মইজ্জ্যেরটেক চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। একই সময়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাসের নেতৃত্বেও একটি বিজয় মিছিল করা হয়।
অন্যদিকে বিকেল সাড়ে চারটায় আনোয়ারার টানেল মোড়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিলে ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাস্টার মোহাম্মদ রফিক, সরোয়ার হোসেন মাসুদ, জাকির সওদাগরসহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্র দলের নেতাকর্মীরা। এরআগে সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিসি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও চট্টগ্রাম কারা পরিদর্শক জুবাইয়ের আলম মানিক নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার নিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরের পথসভা করেন। বিকাল তিনটায় টানেল মোড়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মো. এমরান চৌধুরী নেতৃত্বে বিজয়ের আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।