বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে গোয়াল ঘর স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি হয়েছে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই বিদ্যালয়ের নিচতলায় গরু-মহিষ লালন করছেন, যা শিক্ষার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় পাঁচটি গরু এবং তিনটি মহিষ বাঁধা রয়েছে। চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে খড়কুটা ও গোবরের স্তূপ। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন নাক চেপে ক্লাস করতে হচ্ছে। এই পরিবেশে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বহুবার নিষেধ করা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রভাবশালী শাহ আলম হাওলাদার ও ফোরকান হাওলাদার তাদের গরু-মহিষ সরাচ্ছেন না। প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, 'পুরো পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে, শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।'
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, 'আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। যদি তারা নির্দেশনা না মানে, তবে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
এই ঘটনা শুধু আমতলীর জন্য নয়, বরং দেশের অন্যান্য প্রান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও একটি সতর্কবার্তা। শিক্ষার পরিবেশ দূষণ রোধে প্রশাসনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি স্থানীয় সমাজেরও দায়িত্ব রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বিদ্যালয় ভবনগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না হলে এটি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সুস্থ শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।