বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান অভিনীত এবং সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত অ্যাকশন-এন্টারটেইনার 'কিং' (KING)-এর 'টাইটেল রিভিল' টিজার প্রকাশের পর থেকেই বিনোদন জগতে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচক ও ভক্তদের মতে, শাহরুখ খান এই ছবিতে একজন পেশাদার সিরিয়াল কিলার বা ঘাতকের এক 'ডার্ক' চরিত্রে আসছেন, যা তাঁর আইকনিক 'বাজিগর' চরিত্রের ৩০ বছর পরের আধুনিক সংস্করণ।
মাত্র ৭০ সেকেন্ডের এই টিজারটি চলচ্চিত্র মহলে ঝড় তুলেছে। টিজারে শাহরুখ খানের চরিত্রটিকে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে, যিনি ১০০টি দেশে কুখ্যাত এবং প্রায় এক হাজার অপরাধের জন্য অভিযুক্ত। তাঁর সাদা চুল, কানে দুল, হাতে দুটি বন্দুক, চোখে তীব্র উন্মাদনা এবং দাঁতে রক্তের ছোপ—এই নতুন 'ডার্ক' লুকটি ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ শাহরুখ খানের জন্মদিনে এই 'নতুন অভিজ্ঞতা'র জন্য দর্শকদের প্রস্তুত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
নায়ক না খলনায়ক?
বিশ্লেষকদের মতে, সাধারণত যে সিনেমায় খলনায়ক নায়কের সমকক্ষ হয়, সেটিই হিট হয়। কিন্তু 'কিং' ছবিতে নায়ক নিজেই খলনায়ক হয়ে আসছেন। ১৯৯৩ সালের 'বাজিগর'-এর মতো 'কিং' ছবিতেও শাহরুখ খানকে একটি নেতিবাচক অথচ প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে। এই চরিত্রটি পেশাগতভাবে প্রশিক্ষিত একজন ঘাতকের (সিরিয়াল কিলার), যে অন্য কারো জীবন শেষ করেই যেন বেঁচে থাকে।
-
লুক ও স্টাইল: ৬০ বছর বয়সেও শাহরুখ খানের অ্যাকশন দৃশ্যগুলো অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী। তাঁর সাদা চুলের সঙ্গে কানে দুল এবং হাতে থাকা দুটি বন্দুক—এই লুকটি অ্যাকশন জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
-
সংলাপ ও হাইপ: টিজারে ব্যবহৃত সংলাপ (যেমন—"আমি ভয় নই, আতঙ্ক") এবং ক্যামেরার স্ক্রিনে দাঁত ভেঙে যাওয়ার শব্দ দিয়ে সৃষ্ট যে 'হাইপ', তা পুরো বলিউডকে পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ ও গল্পের লেখক সুজয় ঘোষের কাছ থেকে টিউটোরিয়াল নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
-
বক্স অফিস প্রত্যাশা: 'পাঠান' এবং 'জাওয়ান'-এর বিশাল সাফল্যের পর 'কিং' ছবিটি দিয়ে শাহরুখ খান ১০০০ কোটি রুপির বক্স অফিস সাফল্যের 'হ্যাটট্রিক' করবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের জন্য পুরো বলিউডই তাদের নিজেদের সিনেমার ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
-
'কিং' ছবির গল্প লিখেছেন সুজয় ঘোষ, যিনি গল্পে ১০০ গুণ বড় টুইস্ট ও টার্নের মাধ্যমে দর্শকদের মন ঘুরিয়ে দেবেন।
-
এই ছবির অ্যাকশন দৃশ্যে অনিরুদ্ধের সংগীত ব্যবহৃত হবে, যা প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের জন্য এক অন্যরকম উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।



















