close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

আখাউড়ায় দুই জনপ্রিয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা।

Ali Afzal Khan avatar   
Ali Afzal Khan
আখাউড়ায় নিউজ করায় দুই জনপ্রিয় সাংবাদিকের নামে হয়রানী মূলক পুলিশি মামলা।
এলাকার সাংবাদিকদের মাজে চরম ক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রকাশ।..

আফজল খান শিমুল :

আজ ১২ আগস্ট -২০২৫ ইং রোজ মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানায় আখাউড়া স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন অফিসের ওসি আব্দুস সাত্তার বাদি হয়ে আখাউড়া থানায় উল্লেখিত এলাকার দুই জনপ্রিয় সাংবাদিক মো: ফজলে রাব্বি , স্টাফ রিপোর্টার , দৈনিক যুগান্তর ও মো: সাদ্দাম হোসেন, আখাউড়া প্রতিনিধি , আরটিভি ও দৈনিক আজকের পত্রিকা এর নামে মামলাটি করেন। এ মামলাটি আখাউড়া থানা কর্তৃপক্ষ আজ রাত ৯ টায় "এফআইআর " করে।

মামলার অডিযোগে বলা হয়েছে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন , চাঁদাবাজি ও মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন ।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জাতীয় দৈনিক যুগান্তরে লিড নিউজে গত ৬ জুলাই আখাউড়া ইমিগ্রেশনের পুলিশ কর্তৃক যাত্রী হয়রাণি , ঘুষ বাণিজ্য ও নানারকম অপকর্মের বিরুদ্বে তথ্যবহুল একটি প্রতিবেদন মূলক সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক ফজলে রাব্বি ।

এরপর জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকা ও স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আরটিভিতে গত ৭ আগস্ট আরেকটি তথ্য - প্রমাণ ও সিসিটিভির ফুঁটেজ নিয়ে আরেকটি প্রতিবেদন ও ভিডিও রিপোর্ট করেন সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন।

মামলার পরে সাংবাদিক ফজলে রাব্বিকে ফোন দিলে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি, মিথ্যা সংবাদ আমরা পরিবেশন করেনি, যথাযথ তথ্য-প্রমাণ ও নিয়মমাফিক নিউজটি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক  সাদ্দাম ও অনুরূপ বক্তব্য প্রদান করেন।

এরপর হতে তাদের বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লাগে ওখানকার ইমিগ্রেশন পুলিলের ওসি, এসআইসহ দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যরা ।

তাদের অপরাধ ঢাকতে অবশেষে আখাউড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় ডিজিটাল আইনে একটি মামলা ঠুকে দেয়। আর সাথে সাথে এফআইআর হয়ে যায়। যেখানে একজন সাধারন লোকের এফআইআর করতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। এটাই হচ্ছে পুলিশের কারিশ্মা।

আর এ ব্যাপারে জানতে চাইলে , আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বলেন, আইজিপি স্যারের নির্দেশে অভিযুক্ত দুই সাংবাদিকের নামে মামলা ও এফআইআর করা হয়েছে । অভিযোগ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন , চাঁদাবাজি ও মানহানি ।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত ঘটনার আদ্যোপ্রান্ত জানতে আখাউড়া ইমিগ্রেশনের ওসি আব্দুস সাত্তারের মুঠোফোনে কল করা হয় কিন্তু তিনি তা রিসিভ করেন নি। এরপর ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করা হলেও তিনি কল ব্যাক করেন নি।

এ ঘটনা জানার পর আখাউড়ার সাংবাদিক নেতারা চরম ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন ও কঠোর নিন্দা জানাচ্ছেন। তারা অত্র প্রতিবেদককে অভিযোগ আকারে বলেন, আখাউড়া চেক পোস্টের দুর্নীতি ও অনিয়ম অতীত থেকে চলে আসছে আর এখন কতিপয় দুর্নীতিবাজ পুলিশ ও কর্মচারীদের কারণে তা মহামারীর আকার ধারণ করছে । এটি দেখার কেউ নেই। তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা এর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করেছে এরপর তারা থানায় মামলা করেছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি । 

তারা আরও বলেন, যদি রাস্ট্রের কোন ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে নিউজে সংক্ষুব্ধ হন তবে তিনি উক্ত গণমাধ্যমে প্রতিবাদ পাঠাতে পারেন আর এতে যদি তিনি সঠিকভাবে প্রতিকার না পান তবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। যেখানে বিচারকের দায়িত্বে আছেন মহামাণ্য হাইকোর্টের একজন মাণ্যবর বিচারপতি । 

সুতরাং থানায় প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে দেশের বিবেক গণমাধ্যম কর্মীদের সত্য প্রকাশে মামলা দিয়ে রাস্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে দমিয়ে রাখার শামিল ।

 

کوئی تبصرہ نہیں ملا