উত্তরার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা নিয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হাসপাতাল এলাকায় ভিড় এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ মর্মান্তিক ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা নিয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার, ২১ জুলাই বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, ইউনূস নিজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘন ঘন যোগাযোগ রেখে আহতদের চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হচ্ছেন। তিনি বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করছেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে চিকিৎসার স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত না হয়— সে জন্য হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করতে। তিনি বলেন, প্রতিটি আহত ব্যক্তির সুস্থতা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। এজন্য পরিবেশ শান্ত রাখতে হবে এবং চিকিৎসকদের কাজ নির্বিঘ্নে করতে দিতে হবে।
এর আগে, দুপুর ১টা ৬ মিনিটে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি উড্ডয়ন করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়ে আগুন ও আতঙ্ক। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়।
এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা যায়, দুর্ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়া, বেশ কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থীও রয়েছে বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দুঃখজনক এ ঘটনায় দেশব্যাপী শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন— কীভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটল?
সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তদন্তে বিমানের কারিগরি ত্রুটি, পাইলটের ত্রুটি অথবা আবহাওয়া পরিস্থিতির প্রভাব খতিয়ে দেখা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার এ মনোযোগ ও দায়িত্বশীল ভূমিকায় অনেকে প্রশংসা করেছেন। জনসাধারণের প্রত্যাশা, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং ভবিষ্যতে যেন এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে— সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।