close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

আগস্টের ৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৩ কোটি ডলার

Jewel Azzam avatar   
Jewel Azzam
Bangladesh received $330 million in remittance in just the first 5 days of August — an 81% rise from the same period last year.

মাত্র ৫ দিনে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ছুঁয়েছে ৩৩ কোটি ডলার। গত বছরের তুলনায় এ প্রবাহ বেড়েছে ৮১ শতাংশেরও বেশি।

দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের অবদান দিন দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ৫ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার, যা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি ৫৬ লাখ ডলার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বুধবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আগস্টের ১ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের এই সময়কালে রেমিট্যান্স এসেছিল মাত্র ১৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এই বিপুল প্রবৃদ্ধি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় অবদান রাখছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসীদের জন্য ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো আরও সহজ করা এবং সরকারি প্রণোদনার সঠিক বাস্তবায়ন রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের ৪ ও ৫ তারিখেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। অর্থাৎ মাত্র দুই দিনেই এই পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, যা পূর্বের মাসগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শুধু আগস্ট নয়, পুরো অর্থবছর জুড়েই রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল অভাবনীয়। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্তির রেকর্ড।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপুল রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দিক। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মজবুত রাখা, আমদানি ব্যয় মেটানো, টাকা-ডলারের বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, যদি এই গতি অব্যাহত থাকে, তাহলে চলতি অর্থবছরের শেষে রেমিট্যান্স ৩৫০০ কোটি ডলারের ঘরও অতিক্রম করতে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

لم يتم العثور على تعليقات