close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় আদিবাসী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও পথসভায় আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির জোর দাবি জানানো হয়..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা শহরের পাকাপোলের মোড়ে শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) সকালে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ও সামাজিক সংগঠন আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধন ও পথসভায় আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়। এই আয়োজনে অংশ নেয়া সংস্থাগুলোর মধ্যে ছিল স্বদেশ, এইচআরডিএফ, সিডো সংস্থা, বারসিক, সিএসও এইচআরডি কোয়ালিশন সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সৃজনী মহিলা লোক কেন্দ্র, আশা লোক কেন্দ্র, হেড, ক্রিসেন্ট, নবদিগন্ত এবং সুন্দরবন ফাউন্ডেশন।

স্বদেশ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিডো সংস্থার পরিচালক শ্যামল বিশ্বাস সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন। বক্তব্য দেন উন্নয়ন কর্মী বজলুর রহমান, বিশেষ সামাজিক প্রতিনিধি বায়োজিদ হাসান, যুব প্রতিনিধি ইসাত হোসেন, হৃদয় মন্ডল, জাহাঙ্গীর হোসেন, এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরার সহ-সভাপতি শামীমা সুলতানা। প্রফেসর ইদ্রিস আলীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৯৪ সালে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং তাদের অধিকারের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৯ আগস্ট দিনটিকে বিশ্ব আদিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। প্রথম বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালিত হয় ১৯৯৫ সালের ৯ আগস্ট। এই দিনটি নির্বাচিত হয়েছিল কারণ ১৯৮২ সালের এই দিনে জাতিসংঘে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সম্মান, অধিকার, এবং সংস্কৃতি রক্ষা করা।

আদিবাসীরা প্রতিনিয়ত বৈষম্য, ভূমি দখল এবং অধিকার হরণের শিকার হন। তাদের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি এবং ভাষা প্রায়শই অবহেলিত এবং হুমকির সম্মুখীন হয়। জাতিসংঘের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বিশ্ববাসীর সংহতি সৃষ্টি করা এবং তাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করা।

সভায় বক্তারা আরও জানান, আদিবাসীরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে এবং তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভূমির অধিকার হারাচ্ছে। ভূমির অধিকার ও সংস্কৃতি বজায় রাখতে তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রয়োজন। সরকারি ভাবে তাদেরকে ক্ষুদ্র জাতী ও নৃগোষ্ঠী বলা হচ্ছে, যা তাদের অস্তিত্ব সংকট সৃষ্টি করে। আধুনিক কালের প্রযুক্তির যুগে তাদের অভিগম্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালনের মাধ্যমে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও তাদের অধিকার রক্ষার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং এই বিষয়গুলো নিয়ে নীতিনির্ধারকদের আরো বেশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পথে এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হবে। ভবিষ্যতে এই দিবস পালনের মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।

コメントがありません