বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবী শাহেদ হাসান টগর জানান, মামলার প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জবানবন্দিতে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। জবানবন্দি প্রদানকালে হিটু শেখ জানান, নির্জন ঘরে একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম’র তথ্যসূত্রে জানা যায় ,আজ বিকেলে মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে আদালতে হাজির করা হয়। সিনিয়র জুডশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিশু ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় হিটু শেখ ও তার দুই ছেলে সজিব, রাতুল ও তার স্ত্রী জবেদা বেগমের নামে মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনার অন্য তিন আসামিও রিমান্ডে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে অবস্থার আরও অবনতি হলে, শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে শিশুটিকে মাগুরা নেওয়া হয়। পরে শহরের নোমানী ময়দানে আছিয়ার প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার শব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুণ্ডি কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
		
				
			


















