বরিশালের একটি হোটেল থেকে আলোচিত টিকটকার মাহিয়া মাহি আটক হয়েছেন। পুলিশের হাতে আটকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা এখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বরিশাল নগরীতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন বহুল আলোচিত টিকটকার মাহিয়া মাহি। বুধবার (২৭ আগস্ট) গভীর রাতে বরিশালের পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। পুলিশের অভিযানে শুধু মাহিয়া মাহিই নন, তার সঙ্গে আরও একজন যুবক ও এক তরুণীকেও আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তল্লাশি চালায়। অভিযানের সময় পোর্ট রোডে অবস্থিত ‘হোটেল রোদেলা’র একটি কক্ষে মাহিয়া মাহি অবস্থান করছিলেন। তিনি ও তার সঙ্গে থাকা এক যুবক-তরুণী নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেন। তবে পরিচয় যাচাইয়ের জন্য যখন পুলিশ তাদের নথি চাই, তারা কোনো বৈধ প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। এ কারণে তিনজনকেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “হোটেল রোদেলা থেকে দুই তরুণী ও একজন যুবককে আটক করা হয়েছে। তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বর্তমানে তাদের যাচাই-বাছাই চলছে।”
ঘটনার পরপরই আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক তাদের ভিডিও ধারণ করতে গেলে মাহিয়া মাহি ও অন্যরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। সাংবাদিকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায়ও জড়িয়ে পড়েন তারা। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
মাহিয়া মাহি দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। টিকটকে তার ফলোয়ার সংখ্যা বিপুল। নানা কারণে তিনি বহুবার সমালোচনার মুখেও পড়েছেন। এবারও তার হোটেল থেকে আটক হওয়ার ঘটনা বরিশালসহ সারা দেশে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ঠিক কী কারণে মাহিয়া মাহি ওই হোটেলে অবস্থান করছিলেন এবং তার সঙ্গে থাকা যুবক ও তরুণীর পরিচয় কী। তবে পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে, আটকের খবর ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনলাইনে বিভক্ত মতামত দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, এ ধরনের ঘটনায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, আবার কেউ কেউ বলছেন, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কী করছেন সেটি তার একান্ত বিষয়। তবে যেভাবেই হোক, মাহিয়া মাহি আবারও সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন।
বরিশালের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এখন এই ঘটনাই আলোচনার শীর্ষে। হোটেলে অভিযান, আটক এবং ভিডিও ভাইরাল—সব মিলিয়ে মাহিয়া মাহিকে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশের তদন্তের পরই জানা যাবে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হবে কি না।