৮৩ রানের কাঁপুনি, শ্রীলঙ্কাকে ধসিয়ে সমতায় টাইগাররা

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
টিকে থাকার লড়াইয়ে পেছনে ফেরার সুযোগ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। সিরিজে সমতা ফেরাতে জয়ই ছিল একমাত্র উপায়, আর সেই পথেই হেঁটে শক্তিশালী এক জবাব দিয়েছে টাইগাররা..

ব্যাট হাতে লিটন দাস ও শামীম হোসেন পাটোয়ারির কার্যকর জুটি এনে দেয় মজবুত ভিত। এরপর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসনে ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ।

১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধস নামে লঙ্কান ইনিংসে। মাত্র ৩০ রানের মধ্যেই হারায় প্রথম চার উইকেট। কুশল মেন্ডিসের রান আউট দিয়ে শুরু সেই ভাঙন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মেন্ডিস পয়েন্টে শট খেললেও দ্রুত রিফ্লেক্সে বল ছুড়ে দেন সার্কেলের মধ্যে থাকা শামীম। স্টাম্পে সরাসরি আঘাতে রান আউট হয়ে ফেরেন মাত্র ৮ রান করা মেন্ডিস।

পরের ওভারেই কুশল পেরেরাকে শূন্য রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাভার পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দেন পেরেরা। একই বোলারের হাতে পড়েন আভিষ্কা ফার্নান্দোও—ফুল লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর সাইফউদ্দিনের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন চারিথ আসালাঙ্কা। মাঠের আম্পায়ার না দিলেও রিভিউতে মেলে সফলতা।

চাপে পড়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কাকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দাসুন শানাকা। দুজন মিলে গড়েন ৪১ রানের জুটি। কিন্তু সেই জুটি ভেঙে দেন রিশাদ হোসেন, নিশাঙ্কাকে ক্যাচে পরিণত করে। একই ওভারে চামিকা করুনারত্নেকেও ফেরান রিশাদ—ফ্লিক করতে গিয়ে লিডিং এজে বোলারের কাছেই ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর মিরাজের ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন শানাকা। স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন তিনি তানজিদ হাসানের হাতে।

এরপর দ্রুতই গুটিয়ে যায় লঙ্কান ইনিংস। সাইফউদ্দিন তার তৃতীয় শিকার করেন জেফরি ভ্যান্ডারসেকে। স্কয়ার ফাইন লেগে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তারপর মুস্তাফিজ নিজের স্পেলে ফেরান মাহিশ থিকশানাকে, আর বিনুরা ফার্নান্দো রিশাদ হোসেনের শেষ শিকার হন।

শেষ পর্যন্ত মাত্র ৯৪ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৮৩ রানের বিশাল জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।

Tidak ada komentar yang ditemukan