কাকরাইলে ড্যাব সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পর নিরপেক্ষ মানুষও বিএনপির কাছে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে।
দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি উল্লেখ করেন, স্বৈরাচারের পতনের পর শুধু দলীয় সমর্থক নয়, নিরপেক্ষ নাগরিকরাও এখন বিএনপির কাছ থেকে সর্বাধিক ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ মন্তব্য করেন। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য দেশের চিকিৎসক সমাজকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, "খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুধু আমার মায়ের চিকিৎসা নয়, এটি একটি মানবিক দায়িত্ব। চিকিৎসকদের এই উদ্যোগ আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করছি।"
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক ভালো পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের মানুষ দীর্ঘ সময় পর বুক ভরে শ্বাস নিতে পেরেছে। সেই দিনটি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে থাকবে। তিনি যোগ করেন, "৫ আগস্টের পর শুধু বিএনপির সমর্থকরাই নয়, নিরপেক্ষ মানুষও আমাদের কাছ থেকে উন্নত পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে। তাই আমাদের দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়াতে হবে, যাতে এই প্রত্যাশার মর্যাদা রক্ষা হয়।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের ভিত্তি ধীরে ধীরে মজবুত করতে হবে। একটি সঠিক, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলেই জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হবে। এই আস্থা একবার তৈরি হলে দল এবং রাষ্ট্র উভয়ই একটি স্থিতিশীল ও উন্নয়নমুখী পথে এগিয়ে যেতে পারবে।
রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য বিএনপি যে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তারেক রহমান বলেন, "আজকে যেসব সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, আড়াই বছর আগে আমরা সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জাতির সামনে সেগুলো উপস্থাপন করেছিলাম। যদি আমরা জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করব সকলকে সঙ্গে নিয়েই।"
সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তারেক রহমানকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার পর সম্মেলনস্থলে উপস্থিত চিকিৎসক ও অংশগ্রহণকারীরা করতালির মাধ্যমে সমর্থন জানান।
ড্যাবের এই সম্মেলন শুধুমাত্র পেশাজীবী সংগঠনের মিলনমেলা নয়, বরং আগামী দিনের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।