close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

৫ আগস্ট এনসিপি নেতাদের কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে যা বললেন ফজলুর রহমান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
BNP Chairperson’s adviser Advocate Fazlur Rahman criticized student leaders for traveling to Cox’s Bazar after August 5, saying those who sent hundreds to death and injury only to enjoy luxury trips c..

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ৫ আগস্ট জাতীয় দিবসের পর ছাত্রনেতাদের কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা শত শত তরুণকে শহীদ ও আহত করে বিলাসবহুল ভ্রমণে যায়, তাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষা নেওয়া যায় না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে ৫ আগস্ট জাতীয় দিবসের পর কিছু ছাত্রনেতার কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, যারা শত শত তরুণকে আন্দোলনে শহীদ বা আহত করে, তাদের নেতৃত্ব দিয়ে তারপর বিলাসবহুল ভ্রমণে যায়, তাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি বলেন, যে ছেলেটা ৫০০-৭০০ ছেলেকে নেতৃত্ব দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, শত শত ছেলেকে আহত করেছে, সেই ছেলে ৫ আগস্ট জাতীয় দিবস রেখে কক্সবাজারে ফুর্তি করতে যায়— আমি কেন তার কথা শুনব? কেন মান্য করব? এদের গালি না দিয়ে পারা যায় না।

ফজলুর রহমান প্রশ্ন তোলেন ছাত্রনেতাদের বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে। তিনি বলেন, তোরা যে বিমানে যাচ্ছিস, ফাইভ-স্টার হোটেলে থাকছিস— তোদের বাবার কয় টাকা ছিল? যাদের বাড়িতে দেয়াল নেই, মাটিতে বসে খাওয়ার জায়গা নেই, যাদের হাতে ১০০ টাকার ক্ষমতাও ছিল না, তারা হঠাৎ করে ১০০ কোটির মালিক হলো কিভাবে? এদের কাছ থেকে কি মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষা নিতে হবে?

তিনি আরো বলেন, যারা বলে ৭১ সালের কথা বেশি না বলতে, তারা আসলে ২৪ সালের রাজনীতি করে। এরা বংশপরম্পরায় রাজাকার মানসিকতা লালন করে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, একজন ইমাম সাহেব যদি অপরাধ করে যাবজ্জীবন দণ্ড পায়, তাতে কি ইসলাম খারাপ হয়ে যায়? একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার করে কেউ খারাপ কাজ করলে কি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শই খারাপ হয়ে যাবে? যারা এভাবে বলে, তারা আসলে রাজাকারের সন্তান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাম আজম ও নিজামীর ছবি টানানোর প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বলেন, যারা এসব ছবি টাঙায়, তারা বাংলাদেশকে মানে না; তাদের মনে পাকিস্তান বসে আছে।

মুজিববাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুজিববাদ ১৯৭২ সালে স্লোগান আকারে শুরু হয়েছিল। তখন ছাত্রলীগ দুই ভাগ হয়ে যায়— একপক্ষ সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগান দিত, আরেকপক্ষ নূরে আলম সিদ্দিকী ও আব্দুল কুদ্দুস মাখন্দরা ‘বিশ্বে এলো নতুনবাদ, মুজিববাদ’ স্লোগান দিত। কিন্তু এটার কোনো তত্ত্ব বা দর্শন না থাকায় ১৯৭৩ সালের পর মুজিববাদ স্লোগান বন্ধ হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহবুব কামাল বলেন, “ছাত্রলীগ বিভক্ত হওয়ার পর দুই পক্ষকে আলাদা করে চিহ্নিত করার জন্যই মুজিববাদ ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র শব্দ ব্যবহার করা হয়েছিল। বাস্তবে মুজিববাদের কোনো গভীর দর্শন ছিল না। ১৯৭৩ সালের পর থেকেই এটি রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে হারিয়ে যায়

No comments found