close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

৪ ওভার বাকি থাকতেই অল আউট বাংলাদেশ ; শ্রীলঙ্কার দরকার ২৪৯

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
প্রেমাদাসার উইকেটে কেমন ব্যাটিং করলে সফল হওয়া যায়, ম্যাচের আগে সেটাই বলেছিলেন আত্মবিশ্বাসী তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু ম্যাচে নেমেই ফিরলেন মাত্র ৭ রানে—বলেন আর করে দেখান, মেলেনি মিল।..

শুধু তিনিই নন, আগের ম্যাচের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার বদলে যেন সেই ভুলগুলোকে আরও একধাপ বাড়িয়ে নিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ফলে পারভেজ ইমন আর তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটির পরও বাংলাদেশ পৌঁছাতে পারেনি তিনশর কাছাকাছি—২৪৮ রানেই গুটিয়ে যেতে হয় ৪৫.৫ ওভারে।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুর চাপ সামলাতে পারলেন কেবল ইমন। বাকিদের কেউই স্বস্তি দিতে পারেননি ইনিংসের শুরুতে। ফর্মে ফেরার আভাস দেওয়া শান্তও ফিরেছেন ১৪ রানে।

সবচেয়ে আলোকিত ছিলেন তরুণ ওপেনার পারভেজ ইমন। আগ্রাসী মেজাজে শুরু করে মাত্র ৪৬ বলে তুলে নেন নিজের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি। বল হাতে তখন লঙ্কানদের চোখ রাঙাচ্ছেন তিনি। তবে সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ব্যক্তিগত ৬৭ রানে হাসারাঙ্গার গুগলিতে বোল্ড হন ইমন।

এরপর ইনিংস সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নেন হৃদয়। ইনিংসের ভাঙাচোরা ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে দেখেশুনে খেলেন তিনি। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার পিছু ছাড়েনি—রান নেওয়ার সময় ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে।

নিচের দিকে ব্যাট হাতে নামা অধিনায়ক মিরাজও ব্যর্থ। ৯ রান করে দায়সারা এক শটে ফিরেছেন সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়ে। এরপর আর কেউ দলের হাল ধরতে পারেননি।

তবে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। ইনিংসের একেবারে শেষদিকে ২১ বলে ৩৩ রানের একটি ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংসে কিছুটা লড়াকু স্কোর এনে দেন তিনি।

লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন আসিথা ফার্নান্দো। ডানহাতি এই পেসার ৪ উইকেট তুলে নেন। স্পিনে সমান কার্যকর ছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, নিয়েছেন ৩ উইকেট।

বাংলাদেশের ব্যাটিং আবারও প্রশ্নের মুখে। টপ অর্ডারের ভঙ্গুরতা, মিডল অর্ডারের দায়িত্বহীনতা—সব মিলিয়ে আবারও ব্যর্থ এক ইনিংস। ফিফটি ছিল দুইটি, কিন্তু ইনিংসের বাকি গল্প শুধু ধ্বংসের। সিরিজে ফিরতে হলে এখন দরকার রীতিমতো অলৌকিক প্রত্যাবর্তন

Nema komentara