close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু..

সুভাষ মজুমদার avatar   
সুভাষ মজুমদার
বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির  খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে..

রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক উপস্থাপন করলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এ মামলাটি ওঠে।

রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক থেকে পাঠ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। শুনানির সময় আদালতে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন এবং অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস।

এর আগে, ২০২৫ সালের ১ জুন হাইকোর্টের দেওয়া রায়টির বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি) মঞ্জুর করেন।

২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বাতিল করে সকল আসামিকে খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ ঐ রায়ে বলেন, “এই মামলার বিচার অবৈধ ছিল, আইনে টেকে না।” আদালত আরও বলেন, যেই চার্জশিটের ভিত্তিতে বিচারিক আদালত রায় দিয়েছিল, তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। অনেকে এখনও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন, কেউ কেউ পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

বিচারিক আদালতের রায় (২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর):

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি:
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, সেনা ও গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং হুজি নেতাসহ মোট ১৯ জন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কায়কোবাদসহ মোট ১৯ জন, যাদের অনেকেই পলাতক।


২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর মামলার রায় হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পৌঁছায়। এরপর হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে দেওয়া রায়ে সমস্ত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়, যা নিয়ে জাতীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে এখন বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে, হাইকোর্টের বিতর্কিত রায় পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা পুনর্বহাল হবে।

Tidak ada komentar yang ditemukan