২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। এবারের বাজেটে মন্ত্রণালয়টি পেয়েছে ২ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৮৪২ কোটি টাকা বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। তবে অর্থবছর শেষে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ১ হাজার ৫৮১ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছিল।
চলতি অর্থবছরের বরাদ্দের মধ্যে পরিচালন খাতে নির্ধারিত হয়েছে ৯৮৩ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। উন্নয়ন খাতের এই অর্থের একটি বড় অংশ ব্যয় করা হবে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—বিকেএসপির উন্নয়নে। তবে সামগ্রিক বাজেটের তুলনায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ মাত্র দশমিক ৩১ শতাংশ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৬২৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, যেখানে পরিচালন খাতে খরচ হয়েছিল ৯৫২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের দ্বিতীয় পর্যায়, নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়াম ও টেবিল টেনিস ভবনের উন্নয়ন, ইনডোর ও ভলিবল স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং বিকেএসপির প্রশিক্ষণ সুবিধা আধুনিকায়নের উদ্যোগ।
এছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে দেশের ৬৪টি জেলায় আইটি প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য, এই বাজেটের মাধ্যমে যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, জাতীয় উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা। পাশাপাশি গ্রামীণ ক্রীড়া চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি, প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ অন্বেষণ ও বিকাশ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ এবং আধুনিক ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাজেটে যুব সংগঠন ও ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে অনুদান প্রদান, অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের জন্য কল্যাণ সহায়তা এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানের বিষয়গুলোও গুরুত্ব পেয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের বাজেটে যুব ও ক্রীড়াখাতকে আরও গতিশীল ও ফলপ্রসূ করে তুলতে সরকারের আন্তরিকতা প্রতিফলিত হয়েছে।