ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিলেন লারকিন্স। লর্ডসে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ নম্বরে নেমে প্রথম বলেই শূন্য রানে ফিরেছিলেন তিনি। ফাইনাল ম্যাচটি ছিল তার মাত্র দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যদিও পরবর্তীতে দলে নিজেকে ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।
লারকিন্স ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে খেলেছেন মোট ২৫টি ম্যাচ, যেখানে তার রানসংখ্যা ৫৯১। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পরিসংখ্যান চোখে পড়ার মতো—প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৭ হাজার ১৪২ এবং লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৩ হাজার ৫৯৪ রান।
ক্লাব পর্যায়ে দীর্ঘ সময় খেলেছেন নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ক্লাবটি। এক বিবৃতিতে তারা লিখেছে, ‘তর্কাতীতভাবে নেড ছিলেন তার প্রজন্মের অন্যতম রোমাঞ্চকর ও সহজাত প্রতিভাধর ব্যাটার। নতুন বলের মুখোমুখি হতে কখনও ভয় পাননি। বড় বড় বোলারদেরও আক্রমণ করতে পিছপা হননি।’
লারকিন্সের স্ত্রী ডেবি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘নেড যাদের সঙ্গে দেখা করতেন, সবাই তাকে ভালোবাসতেন। তার মধ্যে ছিল এক ধরনের আকর্ষণ, যা মানুষকে টানত। তিনি প্রতিটি কক্ষ আলোকিত করতেন এবং যেন উৎসব কখনোই শেষ না হয়, তা চাইতেন। আমরা তাকে চিরকাল মনে রাখব।’