বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আগামী ১৭ আগস্ট থেকে দেশের ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকার এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার মানিকগঞ্জ জেলা সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভায় নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এ বছর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখ করা হয়েছে। এছাড়া, এ বছর কর্মসূচির মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। গত বছর কর্মসূচি পাঁচ মাস চললেও এবার তা ছয় মাস চলবে।
কর্মসূচির প্রথম পর্যায় আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এবং ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এটি সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে পুনরায় চালু করা হবে। মোট ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে বলে খাদ্য উপদেষ্টা জানান।
খাদ্য উপদেষ্টা মানিকগঞ্জ জেলার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অনুমোদিত উপকারভোগী ৫৪ হাজার ৭৫৭ জনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার সফল সমাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি নিশ্চিত করতে চান যে উপকারভোগীরা সঠিক সময়ে এবং সঠিক মূল্যে নির্ধারিত পরিমাণ চাল পাবেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটির খাদ্য মজুদ ২১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সেজন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
সভায় মানিকগঞ্জের খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, মানিকগঞ্জ জেলার ২৫ শতাংশ চরাঞ্চল এবং ৬৫ শতাংশ জমি নিচু হওয়ায় বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। এ জন্য খাদ্য বিতরণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য হলো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মসূচি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।