তবে, কে খেলবে আর কে নয়—এই প্রশ্নে ছিল অনেক ধোঁয়াশা। অবশেষে সে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের জন্য দল বাছাইয়ের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে আইসিসি।
বুধবার (৩০ জুলাই) এক ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় আলোচনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আঞ্চলিক বাছাই পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রস্তাবিত নিয়ম অনুযায়ী, ছয়টি দেশ অংশ নেবে ক্রিকেট ইভেন্টে—এর একটি স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকি পাঁচটি জায়গার জন্য প্রতিটি মহাদেশ থেকে একটি করে সেরা র্যাঙ্কিংধারী দলকে সুযোগ দেওয়া হবে। এর ফলে এশিয়া থেকে ভারত, ওশেনিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইউরোপ থেকে গ্রেট ব্রিটেন অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এই বন্টনের ছাঁচে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলো বাদ পড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান এই নিয়মে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। যদিও আইসিসির এই প্রক্রিয়া এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত হয়নি, তবে সিদ্ধান্তে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) চাইছে, অলিম্পিকে বৈশ্বিক প্রতিনিধিত্ব আরও বিস্তৃত হোক, যাতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সে কারণেই আঞ্চলিক বাছাইয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে যে পাঁচটি দল প্রায় নিশ্চিতভাবে জায়গা পাচ্ছে—সেগুলো হলো: ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, গ্রেট ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র। শেষ একটি স্থান কাদের ভাগ্যে জুটবে, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আইসিসি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসের মতো ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের কোনো একক দল—যেমন বার্বাডোস—প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের ম্যাচগুলো হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। অলিম্পিকের ক্রিকেট ইভেন্ট চলবে ১২ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত। নারী বিভাগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২০ জুলাই, আর পুরুষদের ফাইনাল ২৯ জুলাই।
এর আগে একমাত্র ১৯০০ সালের অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেবার একমাত্র ম্যাচে গ্রেট ব্রিটেন ফ্রান্সকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিল।