ক্রিকেটের বাইরে আয়ের উৎস নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে নীরবতার প্রসঙ্গে সাকিব আল হাসান মুখ খুলেছেন; তিনি জানিয়েছেন, যা করেছেন, তা নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই।
ক্রিকেটের বাইরে নানা ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও আয়ের উৎস নিয়ে তীব্র সমালোচিত হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে ব্যাঙ্গ করে 'শোরুম আল হাসান' নামেও ডাকা হয়েছে। তবে সাকিব এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন তার কাজের মাধ্যমে এবং স্পষ্টভাবে তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন।
ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাকিব কানাডা সুপার সিক্সটি এবং সিপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টের মাঝেও নামমাত্র পারিশ্রমিকে মাইনর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) খেলেছেন। মূলত আটলান্টা ফায়ারের মালিক, আরেক বাংলাদেশি হাসান তারেককে দেওয়া কথা রাখতেই তিনি এই টুর্নামেন্টে অংশ নেন।
এই প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, "আমার মনে হয় কিছু সাংবাদিক ও অনলাইন পোর্টাল এসব গল্প তৈরি করেছে। কারণ আমি যা করেছি, তা বাংলাদেশে আর কেউ করেনি। এটা তাদের জন্য নতুন ছিল এবং হজম করা কঠিন ছিল।" এর মাধ্যমে সাকিব তার সমালোচকদের এক প্রকার জবাব দিয়েছেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজনৈতিকভাবে নীরব ও নিরপেক্ষ থাকায় সাকিব তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে 'জনতার শত্রু' বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। এমনকি কানাডায় খেলা চলাকালীন গ্যালারি থেকে তাকে দর্শকদের একাংশের হেনস্তার শিকারও হতে হয়।
সেই নীরবতা নিয়ে এই প্রথমবার মুখ খুললেন সাকিব। তিনি বলেন, "সম্ভবত তারা আমার কাছে অন্য কিছু আশা করেছিল, যা করার মতো অবস্থানে আমি ছিলাম না। সত্যি বলতে, আমি পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগতও ছিলাম না, কারণ আমি তখন দেশ থেকে অনেক দূরে ছিলাম।"
সমালোচনার বিষয়টি বুঝলেও নিজের অবস্থানে অনড় সাকিব। তিনি স্পষ্ট বলেন, "আমি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝি এবং সম্মান করি। তবে এ নিয়ে আমার কোনো অনুশোচনা নেই। আমি মনে করি, মানুষ এখন পরিস্থিতি আরও বেশি বুঝতে শুরু করেছে।



















