ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোক ও প্রতিবাদের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, শাহরিয়ার ও তাঁর দুই বন্ধু একটি মোটরসাইকেলে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ফিরছিলেন। পথে তাঁদের সঙ্গে অপর একটি মোটরসাইকেলের হালকা সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল থেকে অন্তত ১০-১২ জন একত্র হয়ে শাহরিয়ার ও তাঁর বন্ধুদের ওপর শারীরিক আক্রমণ চালায়।
সঙ্গী আশরাফুল আলম জানান, তাঁরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও ওই সময় শাহরিয়ার ছুরিকাঘাতপ্রাপ্ত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের শাখা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। বুধবার দিনভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ক্যাম্পাসেই অনুষ্ঠিত হয় জানাজা।
ঘটনার পর পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। পাশাপাশি, ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছে একটি ছাত্রসংগঠন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।